হিংসা ব্যবস্থাপনা
প্রতিবার আমার কোন বন্ধু সফল হয়, আর আমি অল্প একটু করে মরে যাই- গোর ভিদাল মানুষের সকল আবেগের মধ্যে হিংসা অত্যন্ত জটিল ও আজব। কমবেশি, সকল মানুষের মধ্যে হিংসা সক্রিয়। আমার চেয়ে অন্যের বিষয়সম্পত্তি, পাব্লিক এটেনশন, সম্মান , মেধা , যোগ্যতা , ক্ষমতা বেশি আছে - অন্যের চেয়ে আমি ছোট- এ অনুভূতি এক অসহ্য বেদনা। হিংসাই মূলত আদি পাপ। ইসলাম ধর্মে বর্ণিত হাবিল কাবিলের মারামারি, ওল্ড টেস্টামেনের আবেলেকে কেইনের হ/ত্যা ইত্যাদি হিংসা থেকে উদ্ভুত। এযুগে হিংসা উঠলেই তো আর মে/রে ফেলা যায় না, কিন্তু বাকি যা করা যায় হিংসুটে ব্যক্তি তার সবটাই করে। আমি কাউকে হিংসা করছি, এটি সবার আগে গোপন করি নিজের কাছে। বিষয়সম্পত্তি, পাব্লিক এটেনশন, সম্মান , ক্ষমতা অন্যের বেশি আছে- এটাকে জাস্টিফাই করি অন্যায়, দুর্ভাগ্য, অসাম্য হিসেবে। যে পেয়েছে তাকে ভাগ্যবান, উচ্চাভিলাষী , অসত হিসেবে ট্যাগ দিয়ে দেই। হিংসুটেরা অন্যের অর্জন ধ্বংস করে, সম্মানহানি করে, বদনাম করে, সম্পর্ক নষ্ঠ করে। কিন্তু ভাবখানা এমন করে-হিংসা বলে কিছু নেই, যা করা হচ্ছে তা যথাযথ; অসমতা ও অসচ্ছতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ।...