পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হিংসা ব্যবস্থাপনা

প্রতিবার  আমার কোন বন্ধু সফল হয়, আর আমি অল্প একটু করে  মরে যাই- গোর ভিদাল মানুষের সকল আবেগের মধ্যে হিংসা অত্যন্ত জটিল ও আজব।  কমবেশি, সকল মানুষের মধ্যে হিংসা সক্রিয়।  আমার চেয়ে অন্যের বিষয়সম্পত্তি, পাব্লিক এটেনশন, সম্মান , মেধা , যোগ্যতা , ক্ষমতা বেশি আছে - অন্যের চেয়ে আমি ছোট- এ অনুভূতি এক অসহ্য বেদনা। হিংসাই মূলত  আদি পাপ। ইসলাম ধর্মে বর্ণিত হাবিল কাবিলের মারামারি, ওল্ড টেস্টামেনের আবেলেকে কেইনের হ/ত্যা ইত্যাদি হিংসা থেকে উদ্ভুত। এযুগে হিংসা উঠলেই তো আর মে/রে ফেলা যায় না, কিন্তু বাকি যা করা যায় হিংসুটে ব্যক্তি তার সবটাই করে।  আমি কাউকে হিংসা করছি, এটি সবার আগে গোপন করি নিজের কাছে। বিষয়সম্পত্তি, পাব্লিক এটেনশন, সম্মান , ক্ষমতা অন্যের বেশি আছে- এটাকে জাস্টিফাই করি অন্যায়, দুর্ভাগ্য, অসাম্য হিসেবে। যে পেয়েছে তাকে ভাগ্যবান, উচ্চাভিলাষী ,   অসত হিসেবে ট্যাগ দিয়ে দেই। হিংসুটেরা অন্যের অর্জন ধ্বংস করে, সম্মানহানি করে, বদনাম করে, সম্পর্ক নষ্ঠ করে। কিন্তু ভাবখানা এমন করে-হিংসা বলে কিছু নেই, যা করা হচ্ছে তা যথাযথ; অসমতা ও অসচ্ছতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ।...

বিষাক্ত মানুষের ছোবল থেকে বেচে থাকা

মানুষের ভালো-মন্দ বলে কিছু নেই । আজ যা ভালো কাল তা মন্দ , আমার কাছে যা ভালো  অন্যের কাছে তা বাজে। সমাজে বেচে থাকতে হলে ভালো-মন্দ মানুষ নিয়েই বেচে থাকতে হয়। তবে বাছাই করে যদি মানুষের সাথে মিশতে হয় তাহলে ক্লাসিফিকেশন হতে পারে বিষাক্ত (Toxic), কম বিষাক্ত, অবিষাক্ত। দুনিয়ায় এত মানুষ, তাই সকল মানুষকে ভাল মানুষে পরিণত করা আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়--আদতে প্রয়োজনও নেই। সবচেয়ে ভাল উপায় বিষাক্ত মানুষগুলোকে চিনে ফেলা, তারপর একটু দুরত্ব  বজায় রাখা। এটা করতে পারলে বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান। আর যদি সমস্যাগুলো নিজেরও থাকে, তাহলে দ্রুত বিদায় করে ঝরঝরে হয়ে যাওয়া উচিত। জীবন দুর্বিসহ করে দেয়া এ বিষাক্ত মানুষগুলো চোখের দেখায়, কানের শোনায়, অল্প বোঝায় অনেক বেশি চার্মিং ও এট্রাক্টিভ হতে পারে। এদের  চার্মিং ইনিশিয়াল ইম্প্রেশনের ফাদে পরে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। মানুষ এ বিষগুলো কিছুটা পায় জেনেটিক্যালি, সিংহভাগআসে শিশুকালের গ্রুমিং/বেড়ে উঠার পরিবেশ বা পরিবার থেকে, বাকিটা সামান্য আসে টিনেজ পরবর্তী জীবন ও অভিজ্ঞতা থেকে।  বিষাক্ত মানুষগুলোর প্রধান প্রকার...