পোস্টগুলি

Economics লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মসলাদার ইতিহাস

ছবি
  উপনিবেশায়নের ইতিহাস রক্তাক্ত। তবে ভারতীয় উপমহাদেশসহ পূর্ব-ভারতীয় দীপপুঞ্জ অঞ্চলের উপনিবেশায়নের ইতিহাস শুধুমাত্র রক্তাক্তই নয়– এ ইতিহাস অধিকতর মসলাযুক্ত। আধা কাঁচা, পোড়ানো স্বাদহীন মাংস, মাছ, মদসহ অন্যান্য ইউরোপীয় খাবারের মধ্যে গোলমরিচ ও লবঙ্গের গুড়ো ছিড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজনীয়তা পৃথিবীর ইতিহাসকে গড়ে তুলেছে নতুনভাবে।   কালিকট শুধু ভারতবর্ষের প্রধান বন্দর ছিল না, ছিল ইতিহাসের দরজা। দিনে দিনে কালিকট হয়ে উঠেছিল এক মৌচাক, সারা দুনিয়ায় এর মধুর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। আকারে ছোট হলেও, দুই হাজার বছর ধরে এর বাণিজ্যিক সমৃদ্ধি গড়ে তুলেছে ভারতবর্ষের দ্বার হিসেবে। প্রধান বাণিজ্য মসলা, ভারতবর্ষের বাইরে মালয়-ইন্দোনেশিয়া হতে উৎপাদিত মসলাও চলে আসতো কালিকটে। এই মশলা বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি জড়িত ছিল ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধের সাথে। নামে ধর্মযুদ্ধ হলেও এ যুদ্ধে বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল আরো বেশি। ধর্ম যুদ্ধের শুরুতে ইউরোপীয় শক্তি সাফল্য লাভ করলেও পরের দিকে ৪র্থ ক্রুসেডে মুসলমানরা বীর সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করে এবং মিশর দখল করে নেয়। ...

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জসমূহ

ছবি
আজ থেকে  দশহাজার বছর পূর্বে মানুষ কৃষিকাজের মাধ্যমে   স্থায়ীভাবে  এক জায়গায় থাকা শুরু করে,  ধীরে ধীরে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠে। উন্নত রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে থেকে পৃথিবীতে এ পর্যন্ত তিনটি শিল্প বিপ্লব সম্পন্ন হয়েছে।  বাষ্প ইঞ্জিন ও রেললাইনের হাত ধরে প্রথম শিল্প বিপ্লব হয়েছিল  ১৭৬০ থেকে ১৮৪০ পর্যন্ত।   বিদ্যুৎ  ও কনভেয়ার বেল্ট/এসেমব্লি লাইনের  সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে  দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব  চালু ছিল বিংশ শতাব্দীর ১৯৬০-১৯৭০  সাল পর্যন্ত।  মেইনফ্রেম কম্পিউটার,  সুপার কম্পিউটার,  পার্সোনাল কম্পিউটার ইত্যাদি প্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত হয় তৃতীয়  শিল্প বিপ্লব। সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, রোবটিক্স্‌ , আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স , মেশিন লার্নিং , জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং,  থ্রিডি প্রিন্টিং ইত্যাদির মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ঘটে চলেছে।  সময়টি এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের  হলেও , পৃথিবীর প্রায় ১৭% মানুষ এখনো  দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবের নাগাল পায়নি, এবং  ৪০০ কোটি মানুষ তৃতী...

কোরবানির অর্থনীতি

  অতিসামান্য অর্থনীতির জ্ঞান দিয়ে যা বুঝি বাজারে টাকা বা মুদ্রার ফলপ্রসু কন্ট্রিবিউশন  মাপার জন্য ব্যবহার করা হয় মাল্টিপ্লাইয়ার ইফেক্টকে।  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছাপানো টাকা হাতবদল হয়ে ঘুরতে থাকে-  যতবেশি হাতবদল হবে অর্থনীতি ততবেশি গতিশীল হবে। মানুষের হাতে টাকা যাবে, খরচ হবে,  আরেকজন পাবে -এভাবেই অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। কোন এক বড় ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ বা কালোটাকার মালিক যদি টাকা  বিদেশ পাচার করে দেয়, তাহলে মাল্টিপ্লায়ার  ইফেক্ট বন্ধ অথবা ধীর  হয়ে যায়। অপরদিকে ইদ, পহেলা বৈশাখ,  গ্রাম কেন্দ্রিক ক্ষুদ্র কৃষক, ব্যাবসায়ীর  ইনকাম, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর টাকাগুলো অনেক  বেশি হাতবদল হয়, অর্থনীতিকে প্রাণ দান করে। এই ধরুন সামান্য গরু পালনের সাথে জড়িত ঘাস-পশুখাদ্য-দুগ্ধজাতপন্য ব্যবসায়ী,  চামড়া ব্যবসায়ি,  মসজিদ- মাদ্রাসা- এতিমখানা,  ট্রান্সপোর্ট শ্রমিক, দালাল, কসাই,  রাখাল, দোকানদার ইত্যাদি। এর বাইরেও কত নাম জানা অজানা পেশার কত জন যে জড়িত তা আংগুল গুনে হিসেব করা সম্ভব না। এরা যা পায় তা দিয়ে চালু রাখে গ্রামের চাল, ডাল,...

জাতিসমূহের অর্থনৈতিক ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত কথন

  ন্যাড়া একবিকেলে  বেলতলায় গেল। যদি ন্যাড়ার মাথায় বেল পড়ে , সে পরপারে চলে যাবে। কিন্তু ঐ সুন্দর বিকেলে কোন এক ন্যাড়ির সাথে দেখা হয়ে গেলে ব্যাপারটা অন্যরকম হয়ে যাবে।  তারা এরপর সন্তান সন্ততিসহ সুখে শান্তিতে বিস্ময়কর এ পৃথিবীর নানা রুপরস উপভোগ করবে। শুধু মানুষের জীবনকেই এ ছাচে  ফেলে দেখার দরকার নেই। পুরো মানব জাতির ইতিহাস আসলে এরকম যদি ও কিন্তু দ্বারা নির্ধারিত। এ যদি-কিন্তুকে আমরা ক্রিটিক্যাল জাংকচার বা গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ হিসেবে আখ্যা দিতে পারি।  ব্রিটেনের যুদ্ধবাজ ও অত্যাচারী রাজা জনের মাত্রাতিরিক্ত ট্যাক্স কালেকশনে বিরক্ত হয়ে তার ব্যারনরা প্রজাদের নিয়ে বিদ্রোহ করে আধুনিক গণতান্ত্রিক ইতিহাস শুরু করে ৯০০ বছর পূর্বে  ম্যাগনা কার্টা সাক্ষরের মধ্যে।  আজ হতে ৮০০ বছর পূর্বে ব্ল্যাক ডেথ এর মাধ্যমে ইউরোপের এক তৃতীয়াংশ লোক মারা না গেলে ঐ সময়ের সামন্ত প্রথা বিলুপ্ত হতে কয়েক শতাব্দী লেগে যেত। ব্ল্যাক ডেথে এত মানুষ মারা যায় যে সামন্তদের দ্বারা শোষন করার মত লোক কমে যায়, ফলে তারা সরাসরি শ্রমিক শোষণ না করে শ্রমিকদের জমির মালিকানা দেয়। মানুষের হাতে ক্ষমতা যায়, মান...

থিংক এন্ড গ্রো রিচ এর মর্মকথা

  উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা ধনী  এন্ড্রু কার্নেগি।  বিশাল বিত্ত আয়ের গোপন ফর্মুলা  ও সফলতার গল্প শোনার জন্য একদিন এক তরুণ সাংবাদিক মিঃ কার্নেগির ইন্টারভিউ নিলেন। তিনি সাংবাদিকের উৎসাহ, জ্ঞানে মুগ্ধ হলেন। মিঃ কার্নেগি  সাংবাদিককে একটি দ্বায়িত্ব দিলেন। ঐ সময়ের বিখ্যাত ও বিত্তশালী ৫০০ জনকে ইন্টারভিউ করতে হবে, প্রাপ্ত তথ্য ও জ্ঞান হতে সাধারণ মানুষের উপযোগী করে সফলতার উপর ফর্মুলা তৈরি করে দিতে হবে। প্রাপ্ত তথ্য  এনালিসিস দ্বারা    সাংবাদিক সাহেব  লিখলেন এ জনরার সর্বকালের সেরা বইটি- থিংক এন্ড গ্রো রিচ। লেখক নেপোলিয়ন হিল তার সময়ের সেরা ৫০০জনকে ইন্টারভিউ করে ক্ষান্ত হননি, বিশ-পচিশ বছর ধরে এনালিসিস করেছেন  আরো ২৫০০০ মানুষের বৈশিষ্ঠ্য , সফলতার ও ব্যার্থতার কারণ।  ভালো লাগার ব্যাপার হল রিচনেসকে মিঃ হিল শুধুমাত্র ধনসম্পদ টাকা পয়সার দ্বারা নির্ধারণ করেননি। সম্পদ বলতে তিনি অর্থ বিত্তের পাশাপাশি সুখ্যাতি, নামযশ, পলিটিক্যাল ইনফ্লুয়েন্স , স্পিরিচুয়াল গেইন, ভাল স্বাস্থ্য, সুন্দর পারিবারিক সুখী জীবনকে বুঝিয়েছেন। এই সম্পদ অর্জনের জন্য তিনি ধাপ...

রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড- এর সারমর্ম

  কেন এর আগে পড়িনি? এই বইটি হাতে পেতে এত দেরি হল কেন, স্কুল কলেজে থাকার সময় পড়া হলো না কেন? রবার্ট কিয়োসাকির " রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড"   বইটা পড়ে আজব এক ধরণের হতাশা জন্ম নিয়েছে, যেটি অন্য তেমন কোন বই এর ক্ষেত্রে হয় নি। আমার দৃষ্টিতে ৪/৫ ঘন্টা সময় এর পেছনে ব্যয় করা বেশ চমতকার একটি বিনিয়োগ। প্রচলিত স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি  শিখায় পড়াশোনা করে কিভাবে একটি কাজ পাওয়া যায় এবং তার উপর ভিত্তি করে কিভাবে চাকরি করে উপার্জন করা যায়। কিয়োসাকি এখানেই আলাদা। তার মতে প্রচলিত শিক্ষায় কাজ পাওয়া শিখায়, টাকা উপার্জন শিখায় না,  অফিস/বস/ ম্যানেজমেন্ট শিখায়, ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট শিখায় না। রিচ ড্যাড পূওর ড্যাড বইটির চুম্বক অংশ হচ্ছে লেখকের নিজস্ব ব্যাখ্যাত  ক্যাশ ফ্লো সিস্টেম। এসেট লায়াবিলিটিকে তিনি প্রচলিত সংগার বাইরে এনে দেখিয়েছেন,  আমরা যেটিকে প্রচলিত অর্থে এসেট (বাড়ি/ দামি গাড়ি/ গ্যাজেটস ইত্যাদি) ভাবি,  আসলে এগুলো লায়াবিলিটি। এসেট সেগুলোই যেগুলো দিয়ে আপনার পকেটে টাকা আসে,   আর যা দিয়ে টাকা  বের হয়ে যায় সেগুলো লায়াবিলিটি।  গরীব ও মিডল ক্লাসরা লায়াবিলিটিক...

বাজেটের মূল সুর

  বাজেট  ম্যাক্রোইকোনমি ও পাব্লিক ফাইন্যান্সের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ।  অর্থনীতির গতিপথ নির্ধারক, উন্নয়নের লাইটহাউজ, দেশের আয়-ব্যায়ের গাইডলাইন। সভ্যতার শুরু হতেই সঠিক বাজেট রাষ্ট্র বা জাতিগুলোর উন্নততর সভ্যতা তৈরিতে কাজে লেগেছে। প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে ও আয়ের উৎস খুজতে গিয়ে যুদ্ধ ও  দেশ দখল ঘটত প্রতিনিয়ত। এককালের রাজাদের যুদ্ধ আর রাজকার্য পরিচালনা সংক্রান্ত বাজেট এখন কেন্দ্রীয় সরকার ছুয়ে প্রাদেশিক কিংবা স্থানীয় সরকার পর্যন্ত গড়িয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা,  বর্তমানে তা আকারে  ৭২৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে প্রথম বাজেট ছিল জিডিপির ১৭.৪ শতাংশ আর ২০-২১ অর্থবছরের বাজেট জিডিপির ১৭.৯।  এ জায়গায় অগ্রগতি হয় নি কিছুই। ব্যায়ের জন্য দরকার আয়। বাংলাদেশে ট্যাক্স জিডিপি রেশিও যা-তা, এশিয়ার অন্য দেশ দূরের কথা, সাব-সাহারান আফ্রিকার চেয়েও অনেক কম। এ দেশে ট্যাক্সযোগ্য ৪০ লাখ খানা থাকলেও নিবন্ধন আছে ১৬ লাখ খানার,  এর মধ্যে ট্যাক্স দেয় মাত্র ৮ লাখ খানা। অতিদরিদ্র  সাব-সাহারার দেশগুলোর সরকারের রাজস্ব আয় যেখানে জিডিপির ১৮%, ভারতে ২০%,  বাংলাদেশে মাত্...

বিশ্বাস সকল অর্থের মূল: অর্থের ইতিহাস

আমাদের বিনিময় মাধ্যম  হিসেবে ব্যবহৃত হয় টাকা (Money) ।  সত্যিকার অর্থে ভেবে দেখলে, টাকা  রঙচঙে  কাগজ অথবা কম্পিউটারে  ঢুকানো অর্থহীন কিছু ডিজিট ছাড়া কিছুই মনে হবে না। ঠিক যখন থেকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি এটি কাজের, এর কিছু বিনিময় ক্ষমতা আছে, তখন থেকেই টাকার ক্ষমতা আরোপিত হয়েছে। অর্থই  ( Money) এযাবৎকালে মহাবিশ্বের সর্বজন বিশ্বাসযোগ্য সবচেয়ে প্রচলিত  গাঁজাখুরী গল্প (Myth/Fiction), যে গাঁজার নেশায়  ঢুলে ঢুলে সভ্যতা এতদূর এসেছে। . এরিস্টটল হতে এডাম স্মিথ সবাই ধারণা করেছেন অর্থের আদিরুপ বিনিময় প্রথা; কিন্তু এ ধারণার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই। প্রাচীন সমাজ সংঘবদ্ধ হয়ে শিকার আর সংগ্রহ করত, সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খেত, মুদ্রা বা বিনিময়ের বালাই ছিল না। প্রকৃত আদি মুদ্রা হিসেবে এসেছে তিমির দাত, শুকরের গজদন্ত, শামুকের খোল, স্বর্ন-রোপ্য-ব্রোঞ্জের রিং/টুকরা এমনকি শক্তহয়ে যাওয়া কাদামাটির টুকরা। আদি লেখকরাও কবি-সাহিত্যিক জাতীয় কেউ নন, বরং আদি মুদ্রা হিসেব রাখার জন্য সরকারী আমলা-কেরানিরাই পৃথিবীর আদি আনিসুল হক, ইমদাদুল হক মিলন-- প্রাচীনতম লেখক গোষ্ঠী। . পৃথিবীতে প্...

তত্বীয় অর্থনীতির সারবত্তা

  তত্বীয় অর্থনীতি রসকসহীন, খটোমটো। প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার যুগে রাষ্ট্র চলত দান, সম্মানী, করায়ত্ত রাজ্যের খাজনা , সেবা ফি ইত্যাদির  মাধ্যমে। দার্শনিক প্লেটো সম্পদ অর্জনকে হেয় চোখে দেখলেও ‘দ্যা রিপাবলিক’ গ্রন্থে শ্রমবিভাগকে আদর্শ রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তার শিষ্য এরিস্টটল  ব্যক্তিগত সম্পত্তি অর্জনকে উৎসাহিত করেছেন, গোত্রগত সম্পত্তির চেয়ে একে  ভাল বলেছেন। গোত্রীয় সম্পত্তির মত ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে  Problems of Commons ( সবার যা, তা কেউ দেখভাল করে না) তৈরি হবে না। এযুগে  সম্পদ নিয়ে কেউ খুব বেশি বাড়াবাড়ি ০করেন নাই। গ্রীক দর্শন প্রথমে অনুদিত হয় আরবীতে , পরে ল্যটিনে। এর প্রেক্ষিতেই বাইবেলে (ওল্ড টেস্টামেন ভার্সন)  ও আল-কোরানে সুদকে নিষিদ্ধ করা আছে। আদতে,  ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং  গ্রীক দর্শন দ্বারা ব্যপকভাবে প্রভাবিত। . প্রথম আধুনিক অর্থনৈতিক তত্ব ‘Scholasticism’  বাইবেল দ্বারা প্রভাবিত। সঠিক মুল্য , যথাযথ ট্যাক্স, এবং সুদের ভয়াবহতা নিয়ে এ তত্ব আবর্তিত। এ তত্বের নিহিতার্থ-নিজেকে সংযত রেখে সঠিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা, সুদ মানুষে...

বিশ্ব অর্থণীতির উত্থান-পতন কাহিনী ও ভবিষ্যৎ

  একটি দেশের উন্নয়ন বা দারিদ্র দৈবাৎ কোনো ঘটনা নয়।ম্যাক্রো-একনোমির নানা চলক বিশ্লেষণ করে একটি দেশের অর্থনৈতিক অতীত-বর্তমান বিশ্লেষণ  ও অদূর ভবিষ্যৎ অনুমান করা যেতে পারে। তবে যে কোন অনুমান ৫-১০ বছরের জন্য কার্যকরী হলেও লম্বা সময়ের জন্য সঠিকভাবে অনুমান করা মোটামুটি অসম্ভব। একটি দেশের অর্থনীতির গতিপথ নির্ধারণ করে এর পপুলেশন ডিভিডেন্ট,  বিনিয়োগ-জিডিপি রেশিও,  ঋণ- জিডিপি রেশিও কিংবা-  মুদ্রাস্ফীতি   জিডিপির  প্রবৃদ্ধির  তুলনায় কেমন করছে তার হিসেব। দেশটি দরিদ্র হলে আসলে সে ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজের ভিত্তিটা কেমন তৈরি করছে,  সেটার ভিত্তি যত শক্ত হবে তার  উপর তার উপরের উঠার সম্ভাবনা তৈরি হবে। দেশের যে সব ধণিকশ্রেণি তৈরি হয়েছে, তাদের সম্পদ কিভাবে তৈরি হল এটাও অর্থণীতির ভবিষ্যত কোনদিকে যাবে তা নির্ধারণ করবে।  দেশের অর্থনীতি বেশি সরকারী কর্মকান্ড বা মাতব্বরীর উপর নির্ভর করলে সে দেশে উচ্চ টেকসই উন্নয়ন কঠিন। এর বাইরে দেশের অর্থনীতির গতিনির্ধারক হচ্ছে গতিশীল উন্নয়নকামী নেতৃত্ব, বাণিজ্যিক যোগাযোগের উপযুক্ত  ভৌগলিক অবস্থান, ডলারের সাথে ...

কাউস মিয়া কিভাবে সেরা করদাতা?

  বছরের এ সময়ে এসে হাকিমপুরী জর্দা ও গুলের মালিক জনাব কাউস মিয়া দেশের হিরো হয়ে যান। তিনি ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে দেশ সেরা ট্যাক্সপেয়ার। অথচ, তার চেয়ে বড় ব্যবসায়ী বা ধনী লোক আছে দেশে আরো শত শত। এটা নিয়ে মানুষের আফসোসের শেষ নেই, আবার তিনি তামাকজাত পন্যের ব্যবসা করেন বলে অনেকেই নৈতিকভাবে ব্যাপারটা হজম করতে পারেন না। তবে রাষ্ট্রের জন্য তিনি যা করেন সেটাকে নৈতিকভাবে আপনি অপছন্দ করলেও উন্নয়ন অর্থনীতিতে তার অবদান প্রশংসনীয়। . ট্যাক্স জিনিসটা ইতিহাসের কোন কালেই সাধারণ মানুষের হজমযোগ্য ছিল না, জোর করে গিলানো হয়েছে। মুখ দিয়ে গিলানো হয়েছে ব্যাপারটা এমন না, অন্যদিক দিয়েও গিলানো হয়েছে! অর্থনীতির অন্যান্য টুলস-তত্বগুলোর মত এটিও মারাত্বক আলোচিত ও বিতর্কিত। পুরো ট্যাক্স ইতিহাস ও  সিস্টেমকে আনফেয়ার মনে হবে, কিন্তু রাষ্ট্রের জন্য এর চেয়ে ভাল কোন বিকল্প হাতে নেই। এ এক শাখের করাত। . আদিকালে লোকজন কৃষিকাজ করত, রাজা-সামন্তরা রাজ্য চালনা, নিরাপত্তা প্রদান ইত্যাদির দোহাই দিয়ে একটা বড় অংশ নিয়ে যেত। আধুনিক ট্যাক্সের কনসেপ্ট এসেছে অনেকটা রবিন হুড সাহেব থেকে। ধনীদের থেকে নিয়ে গরীবদের জন্য খরচ করার জন্য ট্যা...