পোস্টগুলি

Philosophy & Life style লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মানুষের নানা প্রদর্শিত সুখ দেখে বিভ্রান্ত হবেন না

  ব্যাপারটি শ্রুতিকটু, তিক্ত কিন্তু বাস্তব। মানুষকে যতটা মহামানুষ মনে করি, মানুষ তার চেয়ে বেশি ছোটলোক  ও ইতর- বলেছেন ভেবলেন থরস্টেইন। তিনি সরাসরি বলেন নাই, ঘুরিয়ে-প্যাচিয়ে বলেছেন। ভেবলেন বলেছেন, মানুষের সকল কাজ বা অকাজের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিপত্তি (prestige) অর্জন ও স্বীকৃতি ( recognition) আদায়। সম্পদ অর্জন ও উচ্চ আয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোগ করা। শুধু ভোগ করলেই হবে না, এ ভোগ হতে হবে জাকজমকপুর্ণ, প্রদর্শনযোগ্য ও সুস্পষ্ট(conspicuous)।লোকে যাতে ঠাহর করতে পারে এ লোকের ম্যালা আছে, সে খরচ করছে , সে বাপের ব্যাটা। ভেবলেনের আগে এডাম স্মিথ মানুষের এই ইতরামি স্বভাবের কথা বলেছেন। স্মিথ অনেক গভীরে চলে গেছেন, মানুষের একটি ডার্ক ইভোলুশিনারি জেনেটিক বৈশিষ্ঠ্যের উপর নজর দিয়েছেন। মানুষ অন্যদের  সুখ  বা সফলতার সাথে বেশি কানেক্ট করতে পারে, অনুভব করতে পারে; অন্যদের দু:খ-কষ্টের সাথে অত ভালোভাবে সংযুক্ত হতে পারে না। অন্য সব মানুষ এটি জানে , তাই দু:খ- কষ্ট কিংবা না পাওয়ার বেদনা চাপা দিয়ে রাখে। অন্যদিকে অর্থ সম্পদ অর্জন, সাফল্য বড়াই করে প্রদর্শন করে। স্মিথ এটিকে বলেছেন Parade of Riches. মার্...

খুঁজে বের করুন আপনার “ইকিগাই”

  “মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই” অমরত্বের এ হাহাকার মানুষের আজন্মকালের। অমরত্ব সম্ভব হয়নি, কিন্তু মানুষ দিনে দিনে জেনেছে কিভাবে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়, সুস্থ  ও সুখী জীবনযাপন করা যায়।  দীর্ঘায়ু অর্জন কোন জাদুমন্ত্র নয়, বরং প্রচলিত কিছু অভ্যাস অর্জন ও বদভ্যাস বর্জন এনে দিতে পারে রোগহীন দীর্ঘায়ু। সারাদুনিয়ায় বড় উন্নতদেশগুলোর মধ্যে  জাপানীদের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশী । সারাজাপানের মধ্যে অকিনাওয়া দ্বীপের গড় আয়ু আরেকটু বেশি। জাপান ও দ্বীপের মানুষের জীবনধারনের পদ্ধতি পর্যালোচনা করে দশটি উল্লেখ্যযোগ্য করনীয় খুঁজে পাওয়া গেছে। অবসরে যাওয়া যাবে না। আমাদের দেশে যেমন আছে , সরকারী চাকুরি হতে ৫৯ বছরে অবসরে যেতে হবে। এ ধরণের ধারণা জাপানি কালচারে নেই। বাচতে হলে কোন উদ্দেশ্য ও করনীয় নিয়ে বাঁচতে হবে। নিজের মত করে ব্যস্ত থাকতে হবে।শেষদিন পর্যন্ত কাজ করে যেতে হবে। শরীর ও মনকে ব্যস্ত রাখতে হবে। ধীরে চলুন। তাড়াহুড়োর কিছু নেই। সময়ের সাথে কঠিন প্রতিযোগীতা এড়িয়ে চলুন।  আপনার জীবন সুন্দর হবে। পেট ভরে খাবেন না। পেটের ২০% খালি রাখুন। আগামী বছরের মধ্যে শরীরের শেইপ ঠি...

জীবন এত ছোট কেন?

  জীবন এত ছোট কেন? এ এক রহস্যময় ধাধা। কিংবা, আমরা যে ষাট-সত্তর বছরের জীবন পাই,  সেটাকে কতটা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি? কামানো অর্থ-বিত্ত হতে একচুল পরিমান কেউ নিয়ে গেলে আমাদের দুঃখের শেষ থাকে না, অথচ আমাদের সবচেয়ে মুল্যবান সম্পদ সময় নষ্ট করি,  দান করি ও অপচয় করি কোন কার্পণ্য ছাড়া। কোন অর্জন ছাড়াই বার্ধ্যকের দিকে এগিয়ে যাই। সেখানে গিয়ে হিসেব মিলেই, এর-ওর জন্য অনেক করেছি, কিন্তু নিজের জীবনখানাকে ষোলআনা ফাঁকি দিয়েছি। কর্মজীবনের শেষ প্রান্তে বড় কোন পদ বা অর্জনের জন্য সারাজীবন দৌড়ের উপর থাকি, অতীতের দু:সহ ভুলের স্মৃতি রোমন্থন করি, ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তায় আচ্ছন্ন থাকি, কিন্তু বর্তমানকে ধরতে পারি না। অবসরকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে পারি না। মিথ্যে সমাজসেবার নামে দৌড়ে ক্লান্ত হই, উচ্চপদ বা বিপুল অর্থের জন্য সারাজীবনকে উৎসর্গ করি - কিন্তু এগুলো আমাদের নিজ স্বত্বার সাথে নিজের দুরত্ব তৈরি করে। এগুলো অর্জন করতে গিয়ে আমরা ক্লান্ত হই, এরপর রক্ষা করতে গিয়ে নিজের সব হারিয়ে ফেলি। আজ যদি জানতাম কাল মৃত্যু হবে, তাহলে আরো কিছুদিন বেচে থাকার  জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করি, কিন্তু না জানলে স্রোতে ...