পোস্টগুলি

Career লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রিচেস্ট ম্যান ইন দ্যা ব্যাবিলন বইয়ে কি আছে?

  পৃথিবীর বুকে প্রথমদিককার আধুনিক সভ্যতা ব্যাবলনীয় সভ্যতা। প্রচলিত যে আর্থিক কাঠামো আমরা ব্যাক্তি ও রাষ্ট্রিয়ভাবে দেখতে পাই তার শুরুটা ব্যবলনীয়দের হাত ধরে। প্রথম মুদ্রা,  নোটের প্রচলন থেকে শুরু করে ব্যাংক, বীমা, ইন্সুরেন্স, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ফান্ড,  মিউচুয়াল ফান্ড ও  শেয়ার মার্কেটের অনেক কন্সেপ্ট পৃথিবীতে এসেছে ব্যবলনীয়দের হাত ধরে। তাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামো, সম্পদের  নিরাপত্তা ব্যাবস্থা আধুনিক যুগের অনেক তৃতীয় বিশ্বের দেশের জন্য ঈর্ষণীয়। এটি ছিল ধনীদের শহর, তারা জানত কিভাবে পরিশ্রম ও বুদ্ধির মাধ্যমে কাজ,  ব্যবসা ও  বিনিয়োগ করে আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করা যায়। এ বইটিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ধ্বংসাবশেষ হতে উদ্ধারকৃত প্রস্তর ও মাটির স্লেটে লিপিবদ্ধ করা ব্যাক্তিগত আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য কিছু দুর্দান্ত ও অকল্পননীয় নীতিমালা। আসলে এ সময়ে ব্যাক্তিগত  আর্থিক ব্যবস্থাপনা  স্বম্পর্কে মোটিভেশনাল বই লিখা হয়  যেসব বই এর আব্বাজান হচ্ছে এই বইটি।  শুন্য হতে আর্থিক স্বচ্ছলতা পাওয়ার জন্য কি কি পন্থা অবলম্বন করা হত ,  কিভাবে কি পরিমাণ সঞ্চয় ও বিন...

গরু ও গাধার গল্প

  গরু ও গাধা দুই বন্ধু। মালিক গরুকে দিয়ে হালচাষ করায়,  ঘানি টানায়, সারদিন খাটায়। অপরদিকে গাধা প্রয়োজন হলে মাঝে মাঝে বোঝা টানে বাকি সময় ঘুমায়, রেস্ট নেয়। গরু তার কষ্ট হতে বাচতে পরামর্শ নেয় গাধার কাছে। গাধা বলে, তুমি মাঝে মাঝে অসুস্থতার ভান করবে। গরু মাঝে মাঝেই করে এবং আরাম করে। সেটা তার অভ্যাস হয়ে যায় এবং মাঝে মধ্যেই টানা কয়েকদিন অসুস্থ থাকে। মালিক উপায় না দেখে গাধাকেই ঘানি ও হালচাষে লাগিয়ে দেয়। গাধার এখন দুজনেরই কাজ করতে হয়। অপরদিকে গরু থেকে ভাল সার্ভিস না পেয়ে মালিক একদিন  গরুকে জবাই করে খেয়ে ফেলে। গাধার তারপর হতে পার্মানেন্টলি দুটার কাজই করতে হয়। মোরালঃ অর্বাচীন লোককে পরামর্শ দিয়ে নিজের ও তার বিপদ ডেকে আনা। সুত্রঃ দ্যা রিচেস্ট ম্যান ইন দ্যা ব্যাবিলন। লেখকঃ জর্জ ক্ল্যাসন।

সাপের মুখে ব্যাঙ

  এক ব্যাক্তি লেইকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিল আর চকোলেট বার খাচ্ছিল। হঠাত দেখতে পেল একটি সাপ মুখে ব্যাঙ ধরে রেখেছে,  ব্যাঙটি চিৎকার করছিল। লোকটির খারাপ লাগল এবং সে সাপটির মুখ হতে ব্যাঙটি সরিয়ে দিল। ব্যাঙ লাফাতে লাফাতে চলে গেল। এতে লোকটি খুশি হলেও পরে সাপের কথা ভেবে তার মন খারাপ হয়ে গেল। আহা, সাপটি এখন কি খেয়ে থাকবে? তিনি সাপের দিকে চকোলেট বারটি ছুড়ে দিলেন। সাপটি সেটি নিয়ে চলে গেল। লোকটি ভাবল, এখন ব্যাঙ খুশি, সাপ খুশি, আর আমারো অনেক ভাল লাগছে।। কিছুক্ষন পর পাশেই পানিতে শব্দ শুনতে পেল। সে তাকাল এবং সাপটিকে আবার দেখতে পেল। এবার সাপের মুখে দুটি ব্যাঙ। মোরালঃ পুরস্কৃত করার ব্যাপারে সাবধান। যা পুরস্কৃত হবে তাই ফিরে ফিরে আসবে।। সুত্রঃ দ্যা  ৩৬০° লিডার, জন সি ম্যাক্সওয়েল, পৃঃ ২৪১

প্রথম আলোয় ক্যারিয়ার বিষয়ক সাক্ষাৎকার

  পত্রিকা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লে চাকরির পরীক্ষা সহজ হয় নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ১০ জুলাই ২০২০, ১১: ৩৭  তৌহিদ এলাহী > বাংলাদেশের তরুণেরা তাঁদের ক্যারিয়ার নিয়ে নানা ধরনের স্বপ্ন দেখেন। কেউ কেউ বিসিএস ক্যাডার হতে চান, কেউবা আইবিএ বা ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে এমবিএ করে করপোরেট জগতে রাজত্ব করতে চান। আবার কেউ যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা উন্নত দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী। ৩০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী ধাপে ধাপে তিনটি সুযোগই গ্রহণ করেছেন। নানামুখী অর্জন, কর্মকাণ্ড ও পড়াশোনাপদ্ধতি প্রভৃতি নিয়ে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোছাব্বের হোসেন।  প্রশ্ন: আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন? তৌহিদ এলাহী: স্কুলজীবন কাটিয়েছি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলায় আমার গ্রামের জোরখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জোরখালী উচ্চবিদ্যালয়ে। এখান থেকে ২০০২ সালে জিপিএ-৩.৭৫ নিয়ে এসএসসিও ২০০৪ সালে জিপিএ-৪.৭০ নিয়ে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ জামালপুর থেকে এইচএসসি পাস করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে প্রথম শ্...

ওয়ান মিনিট ম্যানেজার ম্যাজিক

  ব্যাবসা বা চাকুরিতে নানা পজিশন অনুযায়ী আমাদের লোকজন নিয়ে কাজ করতে হয়। ক্যারিয়ারে ভাল করতে এ  হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট খুব জরুরী, বিশেষকরে অধস্তনদের থেকে সঠিকভাবে কাজ আদায় করে নেয়া। এ জন্য নানা বই-পুস্তক,  কোর্স, লিডারশিপ গুরুরা নানান ছবক দেন৷  সবকিছু বাদ দিয়ে  কিছু অতি সাধারণ কিন্তু কার্যকরি টেকনিক ও টুলস ব্যবহার করে কাংখিত সফলতা পাওয়া যায়। অন্যদের থেকে সবচেয়ে ভাল কাজ আদায় করার জন্য ম্যাজিক কোন ফর্মুলা নেই। হয়ত জটিল অনেক তত্ব আছে, দিনশেষে কাজটা ঠিকঠাক হলো কিনা সেটাই আসল। প্রথমত,  তাদের কাছে কি কাজ চান, সেটা সুনির্দিষ্ঠ করে ছোট  সাইজে টাইম বাউন্ড  লিখে দেয়া। অর্থাৎ এখানে আপনার চাওয়া ও পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত পরিষ্কার, কোন গ্যাপ রাখার সুযোগ নেই। কাজের গোল সেটিং পরিষ্কার হয়ে গেলে,   শুরুর দিকে তাকে মনিটরিং এর মধ্যে রাখা । সে ভুল করল কিনা সেটা কম দেখে সে যখন ভাল কিছু করল সেটি নোটিশ করে তাকে প্রশংসা করা। আর কখনো ভুল করলে সেটা তাকে তৎক্ষণাৎ বলে দেয়া, আপনি হতাশ বা বিরক্ত হয়েছেন সেটা জানিয়ে দেয়া। এটা ট্রিকি। আপনার এই রিপ্রাইম্যান্ড বা বকাঝকা ব্য...