পোস্টগুলি

History & Political Economics লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মসলাদার ইতিহাস

ছবি
  উপনিবেশায়নের ইতিহাস রক্তাক্ত। তবে ভারতীয় উপমহাদেশসহ পূর্ব-ভারতীয় দীপপুঞ্জ অঞ্চলের উপনিবেশায়নের ইতিহাস শুধুমাত্র রক্তাক্তই নয়– এ ইতিহাস অধিকতর মসলাযুক্ত। আধা কাঁচা, পোড়ানো স্বাদহীন মাংস, মাছ, মদসহ অন্যান্য ইউরোপীয় খাবারের মধ্যে গোলমরিচ ও লবঙ্গের গুড়ো ছিড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজনীয়তা পৃথিবীর ইতিহাসকে গড়ে তুলেছে নতুনভাবে।   কালিকট শুধু ভারতবর্ষের প্রধান বন্দর ছিল না, ছিল ইতিহাসের দরজা। দিনে দিনে কালিকট হয়ে উঠেছিল এক মৌচাক, সারা দুনিয়ায় এর মধুর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। আকারে ছোট হলেও, দুই হাজার বছর ধরে এর বাণিজ্যিক সমৃদ্ধি গড়ে তুলেছে ভারতবর্ষের দ্বার হিসেবে। প্রধান বাণিজ্য মসলা, ভারতবর্ষের বাইরে মালয়-ইন্দোনেশিয়া হতে উৎপাদিত মসলাও চলে আসতো কালিকটে। এই মশলা বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি জড়িত ছিল ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধের সাথে। নামে ধর্মযুদ্ধ হলেও এ যুদ্ধে বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল আরো বেশি। ধর্ম যুদ্ধের শুরুতে ইউরোপীয় শক্তি সাফল্য লাভ করলেও পরের দিকে ৪র্থ ক্রুসেডে মুসলমানরা বীর সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করে এবং মিশর দখল করে নেয়। ...

তত্বীয় অর্থনীতির সারবত্তা

  তত্বীয় অর্থনীতি রসকসহীন, খটোমটো। প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার যুগে রাষ্ট্র চলত দান, সম্মানী, করায়ত্ত রাজ্যের খাজনা , সেবা ফি ইত্যাদির  মাধ্যমে। দার্শনিক প্লেটো সম্পদ অর্জনকে হেয় চোখে দেখলেও ‘দ্যা রিপাবলিক’ গ্রন্থে শ্রমবিভাগকে আদর্শ রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তার শিষ্য এরিস্টটল  ব্যক্তিগত সম্পত্তি অর্জনকে উৎসাহিত করেছেন, গোত্রগত সম্পত্তির চেয়ে একে  ভাল বলেছেন। গোত্রীয় সম্পত্তির মত ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে  Problems of Commons ( সবার যা, তা কেউ দেখভাল করে না) তৈরি হবে না। এযুগে  সম্পদ নিয়ে কেউ খুব বেশি বাড়াবাড়ি ০করেন নাই। গ্রীক দর্শন প্রথমে অনুদিত হয় আরবীতে , পরে ল্যটিনে। এর প্রেক্ষিতেই বাইবেলে (ওল্ড টেস্টামেন ভার্সন)  ও আল-কোরানে সুদকে নিষিদ্ধ করা আছে। আদতে,  ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং  গ্রীক দর্শন দ্বারা ব্যপকভাবে প্রভাবিত। . প্রথম আধুনিক অর্থনৈতিক তত্ব ‘Scholasticism’  বাইবেল দ্বারা প্রভাবিত। সঠিক মুল্য , যথাযথ ট্যাক্স, এবং সুদের ভয়াবহতা নিয়ে এ তত্ব আবর্তিত। এ তত্বের নিহিতার্থ-নিজেকে সংযত রেখে সঠিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা, সুদ মানুষে...

বিশ্ব অর্থণীতির উত্থান-পতন কাহিনী ও ভবিষ্যৎ

  একটি দেশের উন্নয়ন বা দারিদ্র দৈবাৎ কোনো ঘটনা নয়।ম্যাক্রো-একনোমির নানা চলক বিশ্লেষণ করে একটি দেশের অর্থনৈতিক অতীত-বর্তমান বিশ্লেষণ  ও অদূর ভবিষ্যৎ অনুমান করা যেতে পারে। তবে যে কোন অনুমান ৫-১০ বছরের জন্য কার্যকরী হলেও লম্বা সময়ের জন্য সঠিকভাবে অনুমান করা মোটামুটি অসম্ভব। একটি দেশের অর্থনীতির গতিপথ নির্ধারণ করে এর পপুলেশন ডিভিডেন্ট,  বিনিয়োগ-জিডিপি রেশিও,  ঋণ- জিডিপি রেশিও কিংবা-  মুদ্রাস্ফীতি   জিডিপির  প্রবৃদ্ধির  তুলনায় কেমন করছে তার হিসেব। দেশটি দরিদ্র হলে আসলে সে ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজের ভিত্তিটা কেমন তৈরি করছে,  সেটার ভিত্তি যত শক্ত হবে তার  উপর তার উপরের উঠার সম্ভাবনা তৈরি হবে। দেশের যে সব ধণিকশ্রেণি তৈরি হয়েছে, তাদের সম্পদ কিভাবে তৈরি হল এটাও অর্থণীতির ভবিষ্যত কোনদিকে যাবে তা নির্ধারণ করবে।  দেশের অর্থনীতি বেশি সরকারী কর্মকান্ড বা মাতব্বরীর উপর নির্ভর করলে সে দেশে উচ্চ টেকসই উন্নয়ন কঠিন। এর বাইরে দেশের অর্থনীতির গতিনির্ধারক হচ্ছে গতিশীল উন্নয়নকামী নেতৃত্ব, বাণিজ্যিক যোগাযোগের উপযুক্ত  ভৌগলিক অবস্থান, ডলারের সাথে ...