পোস্টগুলি

Leadership লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্যাঙ খান বা বিড়াল মারুন

  এর কাছাকাছি ভাবানুবাদ হতে পারে ‘বিড়াল মারা’। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে নানা পর্যায়ে নানা ধরণের অসংখ্য  বিড়াল আসে, উৎপাত করে,  কর্মস্পৃহাকে থামিয়ে রাখে। ক্যারিয়ার ও জীবনে সফল হওয়ার জন্য যথাসময়ে সঠিক বিড়ালটি মারা উচিত, অথবা বিড়ালটিকে তাড়িয়ে দেয়া উচিৎ। ‘ইট দ্যাট ফ্রগ’, ব্যাঙ খাওয়া বা বিড়াল মারা খুব গুরুত্বপূর্ণ । যা আমাদের নতুন কিছু শুরু করতে, লক্ষ্য পূরণ করতে , আমাদের ক্যারিয়ারে, ব্যাক্তি জীবনে সফল হওয়ার পথে মানসিকভাবে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাই হচ্ছে ‘ব্যাঙ’ বা ‘বিড়াল’। এ বাধাগুলোকে দূর করার জন্য  কিছু পরীক্ষিত পদ্ধতি বা কর্মপন্থা অনুসরণ করলে সফল হওয়া যায়। কারো জন্য এ বাধা শুধু আলসেমি বা  দীর্ঘসুত্রিতা। কারো জন্য  শুরু করার সাহসের অভাব, কোনটা আগে কোনটা পরে শুরু করব এ নিয়ে সিদ্ধান্থীনতা বা অসফল হওয়ার  নানা ধরণের অহেতুক ভয়। তবে সঠিক পদ্ধতিতে সামনের দিকে আগালে এ সকল সমস্যা খুব বেশি বড় বাধা হয়ে দাড়াতে পারে না। ইতালিয়ান অর্থনীতিবিদ ভিলফ্রেডো প্যারেটো তত্বটি দাড় করিয়েছিলেন অর্থণীতির শ্রেণীবিভেদ ব্যাখ্যা করার জন্য । তিনি বলেছিলেন ২০% শোসক শ্রেণী ৮০% আমজনতার উপর অর্থণ...

নেতৃত্বের কালো অধ্যায়: Never Outshine Your Master

  ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই তরুন। সবে সিংহাসনে বসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পদ ফাকা হয়েছে। ফাইন্যান্স মিনিস্টার নিকোলাস ফুকো সাহেব খুব যোগ্য লোক, স্মার্ট, জ্ঞানী, যোগাযোগে সাংঘাতিক দক্ষ। তার টার্গেট সেই পদ। কিন্তু রাজা ইচ্ছে  করেই সে পদ ফাকা রাখলেন। ফাইন্যান্স মিনিস্টার সাহেব  আহত হলেন। কিন্তু মুষড়ে পড়েন নাই। তার মনে হলো রাজাকে যেভাবেই হোক ইম্প্রেসড করতেই হবে। পদ বাগাতে হবে। রাজার মন পেতে নিকোলাস সাহেব বিরাট পার্টি থ্রো করলেন। সে সময়ের ইউরোপের সেরা গায়ক-শিল্পীদের আনলেন। পরিবেশন করা হল ইউরোপের সকল দেশের  সেরা সেরা সুস্বাদু খাবার ও পানীয়। মলিয়েরকে দিয়ে নতুন নাটক লিখিয়ে সেরাশিল্পীদের দিয়ে অভিনয় করালেন। এত জাকজমক আতশবাজি আলোকসজ্জা এর আগে কেউ কোন্দিন দেখেনি। সে সময়ের ইউরোপের রাজা-রাণী, প্রিন্স-প্রিন্সেস বুদ্ধিজীবীদের পার্টিতে দেখা গেল। সন্ধ্যা হতে ভোররাত পর্যন্ত চলল পার্টি। রাজা লুইস শুরু হতে শেষ পর্যন্ত উপভোগ করলেন। শুরু থেকেই একেক বিষয় প্রদর্শিত হয় আর মিনিস্টার সাহেবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় সবাই। কি দক্ষতা, যোগ্যাতা, যোগাযোগ ক্ষমতা, ক্যারিশমেটিক এক সংগঠক আয়োজক মিনিস্টার সাহেব।...

কিভাবে হবেন ৩৬০ ডিগ্রি নেতা?

  অযথা নাকউচা ভাবের জন্য সারাজীবন ক্যারিয়ার ও মোটিভেশনাল বইগুলো খুব বেশি পড়া হয় নি। পরে হিসেব করে দেখলাম,  গতরদিয়ে  মাসওয়ারি কামলাখেটে বেচে আছি, খামাখাই ভাব নিয়ে লাভ নাই। আর সারাজীবন এসব করেই পার করে দিতে হবে। আসলে কাজ করতে গিয়ে অন্যেরটা দেখে নিজে খেটে ভুলচুক করে আমাদের শিখতে হয়। এটা বেশ সময়সাপেক্ষ। এর চেয়ে যারা এই লাইনে বছরের পর বছর কাজ করে গবেষণা করে কিছু লিখেছেন তাদের বই পড়লে কিছু সুনির্দিষ্ট ডিরেকশন পাওয়া যায়। অন্ততপক্ষে নিজে ভুল নামের অভিজ্ঞতার দারস্থ হওয়া লাগে কম। যারা চাকুরি করি অথবা ছোট-খাট- মাঝারি ব্যাবসা করি তাদের সফলতা কমবেশি নির্ভর করে ৮৫-৯০% নিজের ব্যাক্তিত্ব,  কমিউনিকেশন,  নেতৃত্বগুণের উপর। বাকিটা জ্ঞান কিংবা ভাগ্যের উপর। আর সারা কর্মজীবনে হাতেগোনা দুএকজন বাদে সকলেরই  কারো অধীনস্ত হয়ে সাথে সাথে নিজের কিছু অধীনস্ত লোকদের নিয়ে কাজ করতে হয়, সমপদের থাকে অনেকেই। অর্থাৎ কর্মজীবনে সফল হওয়ার জন্য আমাদের আপ-ডাউন-এক্রস সবধরণের নেতৃত্বগুনের প্রয়োজন হয়। মিঃ ম্যাক্সোয়েল এর কনসেপ্টগুল চমৎকার লেগেছে। অনেক ভুল ধারণা ভেংগে গেছে, নতুন শিখেছি অনেক কিছুই। তার মতে...