পোস্টগুলি

Political Economics লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জাতিসমূহের অর্থনৈতিক ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত কথন

  ন্যাড়া একবিকেলে  বেলতলায় গেল। যদি ন্যাড়ার মাথায় বেল পড়ে , সে পরপারে চলে যাবে। কিন্তু ঐ সুন্দর বিকেলে কোন এক ন্যাড়ির সাথে দেখা হয়ে গেলে ব্যাপারটা অন্যরকম হয়ে যাবে।  তারা এরপর সন্তান সন্ততিসহ সুখে শান্তিতে বিস্ময়কর এ পৃথিবীর নানা রুপরস উপভোগ করবে। শুধু মানুষের জীবনকেই এ ছাচে  ফেলে দেখার দরকার নেই। পুরো মানব জাতির ইতিহাস আসলে এরকম যদি ও কিন্তু দ্বারা নির্ধারিত। এ যদি-কিন্তুকে আমরা ক্রিটিক্যাল জাংকচার বা গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ হিসেবে আখ্যা দিতে পারি।  ব্রিটেনের যুদ্ধবাজ ও অত্যাচারী রাজা জনের মাত্রাতিরিক্ত ট্যাক্স কালেকশনে বিরক্ত হয়ে তার ব্যারনরা প্রজাদের নিয়ে বিদ্রোহ করে আধুনিক গণতান্ত্রিক ইতিহাস শুরু করে ৯০০ বছর পূর্বে  ম্যাগনা কার্টা সাক্ষরের মধ্যে।  আজ হতে ৮০০ বছর পূর্বে ব্ল্যাক ডেথ এর মাধ্যমে ইউরোপের এক তৃতীয়াংশ লোক মারা না গেলে ঐ সময়ের সামন্ত প্রথা বিলুপ্ত হতে কয়েক শতাব্দী লেগে যেত। ব্ল্যাক ডেথে এত মানুষ মারা যায় যে সামন্তদের দ্বারা শোষন করার মত লোক কমে যায়, ফলে তারা সরাসরি শ্রমিক শোষণ না করে শ্রমিকদের জমির মালিকানা দেয়। মানুষের হাতে ক্ষমতা যায়, মান...

শোধিতে হইবে ঋণ: সবাই জানুক ঔপনিবেশতার নির্মমতা

১৬৫০ সালের দিকে পৃথিবীর একটি অংশ সভ্যতা ও উন্নতির চরম শিখরে। এলাকাটি খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রাচুর্যতা ও  বৈদেশিক বাণিজ্যে সফলতা সারাদুনিয়া হতে ব্যবসায়ী,  শিল্পী,  স্থপতি, চাকুরীপ্রার্থীদের আকর্ষণ করেছিলl   পৃথিবীর এক উন্নত সভ্যতা হিসেবে জ্বল জ্বল করছিল। অন্যদিকে পৃথিবীর অন্য একটি অংশ সামন্ত-শ্রেণী প্রথায়  জর্জরিত, ক্ষুধা অভাব ক্লিশট; যাদের শক্তিশালী রাষ্ট্রীয়  কোন আর্থ-সামাজিক কাঠামো গড়ে উঠেনি। নাগরিকদের সামান্য জীবিকার জন্য সারাদুনিয়ায় হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়। উল্লেখিত প্রথম  জায়গাটি ভারতবর্ষ। দ্বীতিয়টি ইংল্যান্ড, তখন পর্যন্ত যাদের শক্তিশালী রাষ্ট্রীয়  কোন আর্থ-সামাজিক কাঠামো গড়ে উঠেনি। ১৭০০ সালের দিকে আওরঙ্গজেবের শাসনামলে সারাপৃথিবীর মোট জিডিপির ৩২% ছিল ভারতবর্ষের, মাত্র ৩% ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু এরপর ১৭৫৭ হতে১৯৪৭ এ ১৯০ বছরে হিসেব পুরো উলটে যায়।  দুশতকের ব্রিটিশ শাসন তছনছ করে দেয় উপমহাদেশের আর্থিক ও  সামাজিক কাঠামো। ধ্বংস করে দেয়া হয় মসলিন,  জামদানি, মসলা,  খাদ্যশস্য, স্টিল,  কৃষি, জাহাজ নির্মা...

বিশ্বাস সকল অর্থের মূল: অর্থের ইতিহাস

আমাদের বিনিময় মাধ্যম  হিসেবে ব্যবহৃত হয় টাকা (Money) ।  সত্যিকার অর্থে ভেবে দেখলে, টাকা  রঙচঙে  কাগজ অথবা কম্পিউটারে  ঢুকানো অর্থহীন কিছু ডিজিট ছাড়া কিছুই মনে হবে না। ঠিক যখন থেকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি এটি কাজের, এর কিছু বিনিময় ক্ষমতা আছে, তখন থেকেই টাকার ক্ষমতা আরোপিত হয়েছে। অর্থই  ( Money) এযাবৎকালে মহাবিশ্বের সর্বজন বিশ্বাসযোগ্য সবচেয়ে প্রচলিত  গাঁজাখুরী গল্প (Myth/Fiction), যে গাঁজার নেশায়  ঢুলে ঢুলে সভ্যতা এতদূর এসেছে। . এরিস্টটল হতে এডাম স্মিথ সবাই ধারণা করেছেন অর্থের আদিরুপ বিনিময় প্রথা; কিন্তু এ ধারণার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই। প্রাচীন সমাজ সংঘবদ্ধ হয়ে শিকার আর সংগ্রহ করত, সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খেত, মুদ্রা বা বিনিময়ের বালাই ছিল না। প্রকৃত আদি মুদ্রা হিসেবে এসেছে তিমির দাত, শুকরের গজদন্ত, শামুকের খোল, স্বর্ন-রোপ্য-ব্রোঞ্জের রিং/টুকরা এমনকি শক্তহয়ে যাওয়া কাদামাটির টুকরা। আদি লেখকরাও কবি-সাহিত্যিক জাতীয় কেউ নন, বরং আদি মুদ্রা হিসেব রাখার জন্য সরকারী আমলা-কেরানিরাই পৃথিবীর আদি আনিসুল হক, ইমদাদুল হক মিলন-- প্রাচীনতম লেখক গোষ্ঠী। . পৃথিবীতে প্...