পোস্টগুলি

মে, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রচলিত মিথের দার্শনিক ও সমাজ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

ছবি
রূপকথা,  উপকথা,  সংস্কার,  কুসংস্কার,  প্রাচীন গাল-গল্প, প্রচলিত  ধর্মেসমূহের  ভাষ্যসহ নানা বিষয়  মিথের অংশ। সমাজে প্রচলিত মিথগুলো নিছক গল্প বা বিনোদনের জন্য তৈরি হয়নি।  প্রত্যেকটি মিথের রয়েছে নৃতাত্ত্বিক ভাষ্য ও ব্যাখ্যা। মিথগুলোর বেড়ে ওঠা,  প্রতিষ্ঠিত হওয়া , জনসমাজে প্রভাব ফেলা–  মানুষের  নৃতাত্ত্বিক ইতিহাসের মতোই  জটিল   ও বহুমুখী।  মিথ্  মানুষের মধ্যে মানুষের  অজান্তেই  জন্ম নিয়েছে।  মিথকে কুসংস্কার ও আদিম চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ফেলে দেয়ার জো নেই।  আধুনিক সময়ে, বিজ্ঞানের প্রভাবে মিথের গুরুত্ব অনেক অংশে হারিয়ে গিয়েছে।  এ হারানো অস্তিত্বগুলো হয়তো আর কোনদিন ফিরে পাওয়া সম্ভব নয় । সময়ের প্রয়োজনে  বেকন, দেকার্তে,  নিউটনসহ অন্যান্য  চিন্তক-বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে ১৭শ শতকের দিকে  বিজ্ঞান ও মিথ আলাদা হতে  থাকে।  একেবারে কমন উদাহরণ হিসেবে  বলা যায়, পৃথিবী নানা  জায়গার নানা ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে-শাদী হয়।  এক জায়গার  ...

মনস্তাত্ত্বিক ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযান

ছবি
ইউরোপ শুধুমাত্র কোন ভৌগোলিক অবস্থান নয়- এটি একটি মানসিক প্রবণতা, চিন্তাধারা এবং ক্ষেত্রবিশেষে চাপিয়ে দেওয়া দর্শন। ইউরোপ বা পাশ্চাত্য সারা দুনিয়াকে অস্বীকার করে নিজেদের মতো করে জ্ঞান চর্চা এবং জ্ঞান উৎপাদন করতে পারে, কিন্তু ইউরোপের বাইরের দুনিয়া ইউরোপ ছাড়া কিছুই করতে পারে না। পৃথিবীর আধুনিক জ্ঞান ভান্ডারে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি সংস্কৃত, ফারসি , আরবি ইত্যাদি ভাষায় চর্চিত জ্ঞানগুলোকে। সাবঅল্টার্ন ঐতিহাসিক দীপেশ চক্রবর্তী ভৌগলিক ইউরোপ নয়, মনস্তাত্ত্বিক ইউরোপের মাতব্বরিকে প্রশ্ন করেছেন তার ‘প্রভিনশিয়ালাইজিং ইউরোপ’ বইতে। তিনি দাবি করেছেন, মনস্তাত্ত্বিক ইউরোপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, কিন্তু এটি অপরিহার্য নয়। দীপেশ চক্রবর্তী মনস্তাত্ত্বিক ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বেশ কিছু তত্ত্বের অবতারণা করেছেন। ইউরোপীয় চিন্তার প্রধানতম সমালোচনা হিসেবে তিনি দাঁড় করিয়েছেন ‘ ইতিহাসের বিশ্রামাগার’ বা ওয়েটিং রুম অফ হিস্ট্রি তত্ত্বটি। ইউরোপ দাবি করে রাষ্ট্র, সভ্যতা, নাগরিকত্ব, গণতন্ত্র , সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতা ইত্যাদি তাদের প্রোডাক্ট। সারা দুনিয়া...