ডোনাট মডেলঃ প্রয়োজন নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোর
–ভাত দিবার পারোস না ভাতার হবার চাস-
কেমন মরদ তুই হারামজাদা?-কাজী রোজী
প্রচলিত এই অর্থনীতি কিছুই দিতে পারেনি। পৃথিবীর সবাইকে দুবেলা দুমুঠো ভাত দিতে পারেনি, সবার মাথা গোঁজার ঠাই দিতে পারেনি। প্রতিরোধ দূরের কথা, এ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিজেই বলতে পারে না সে কবে ধ্বসে পড়বে। অল্প কজন মানুষকে সম্পদের পাহাড় গড়তে দিয়ে, সকলকে করেছে নিঃস্ব- - এ প্রকৃতি ও পরিবেশকে করেছে রিক্ত। পুরনো আমলের বাসী-পচা এ তত্ত্বগুলো আমরা আওড়ে যাই, পড়ে যাই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। ধরে নেই এ জিডিপির গ্রোথ, সাপ্লাই-ডিমান্ড থিওরি কিংবা, নিউটনের পদার্থ বিজ্ঞানের অনুকরণে জোর করে তৈরি স্লিম-সেক্সি- অর্থনৈতিক সমীকরণগুলো আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু হায়! এ বড্ড সেকেলে, অপ্রয়োজনীয্ চাপিয়ে দেওয়া তত্ত্ব ও প্রয়োগ চেপে বসেছে সিন্দাবাদ এর ভূতের মত- না আমরা পারি ছেড়ে দিতে- না সে আমাদের ছেড়ে যায়।
প্রচলিত এই অর্থনীতি শেখায় যোগান-চাহিদার সাম্যবস্থা তৈরি করা; বছর বছর লাফিয়ে লাফিয়ে গ্রোথের হাত ধরে মোট জিডিপি সাই সাই করে ঊর্ধ্ব গগনে চলে যাওয়া। পদার্থ বিজ্ঞানের মত করে তৈরি গ্রাফ-ইকুয়েশন আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। এই যে সাম্যবস্থার কথা বলি, কিসের সাম্যবস্থা, কার সাম্যবস্থা? মোটা কাপড়, মোটা ভাত যোগান দিতে সাম্যবস্থা হিমশিম খায়, কারণ এই সাম্যবস্থার গ্রাফ-ইকুয়েশন তো জানেনা ভাত-কাপড় জোগাড় করতে আরো কত শত জায়গায্-সময়ে-পয়েন্টে কত শত ফ্যাক্টর জড়িত। এইসব ফ্যাক্টরকে এক্সটার্নালিটিজ নাম দিয়ে সাইডলাইনে বসিয়ে রাখা হয় উট পাখির মত না দেখার ভান করে। নিউটনের পদার্থবিজ্ঞানে ধরে নেয়া যায় ‘আদর্শ অবস্থা’, কিন্তু নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যাওয়ার জগতে এই ‘’আদর্শ অবস্থা’’ একটি প্রহেলিকা– এ প্রহেলিকা ধারণ করতে পারে না এক্সটার্নালিটিজকে।
অন্যদিকে, জিডিপির গ্রোথ ধোয়া পানি দিয়ে ৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে কোনরকমে ৪০০ কোটিকে পেট ভরাতে পরিবেশ- বাস্তুসংস্থান লণ্ডভণ্ড করেছি, বাকি ৪০০ কোটির সামাজিক-অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে আদৌ টিকিয়ে রাখতে পারবো এ পৃথিবীকে?
অর্থনীতি হচ্ছে পাবলিক পলিসির মাতৃভাষা, রাষ্ট্র কাঠামোর প্রাণ– গড়ে তোলে সমাজের আকার, আকৃতি, মানসিকতা । এ সময়ে এসে আমরা গড়ে তুলছি ২০৫০-২১০০ সালে নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্র-সমাজ কাঠামো— সেই ১৮৫০ সালের বাসি হয়ে যাওয়া দুর্গন্ধযুক্ত অর্থনৈতিক তত্ত্ব দিয়ে। তাই সময় এসেছে জীর্ণ, পুরাত্ন, অচল, অক্ষমকে ছুড়ে ফেলে নতুন করে তত্ত্ব গড়ার, সময় এসেছে পরিবর্তনের ডাক দেয়ার। কেমন হয়, যদি আমরা অক্ষম তত্ত্বগুলোকে ছুড়ে ফেলে দেই, খুঁজে ফিরি নতুন মন্ত্র যা দেখাতে পারে মানবতার মুক্তির পথ?
পুরাতনকে বাতিল করে ২১শ শতকে মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় কেইট রাওয়ার্থ তার ‘’ডোনাট একনোমিক্স’ বইতে এরকম সাতটি পথ বাতলে দিয়েছেন।
এক- উদ্দেশ্যের পরিবর্তনঃ গত ১০০ বছর ধরে অর্থনীতির একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল জিডিপির প্রবৃদ্ধি। জিডিপি হিসাব দেখিয়ে না দেখার ভান করা হয়েছে সমাজে বেড়ে যাওয়া অসাম্য ও বৈষম্য, ধ্বংস করা হয়েছে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশকে। অক্ষম এ জিডিপির প্রবৃদ্ধি কে পাশ কাটিয়ে আমাদের নতুন লক্ষ্য হওয়া উচিত- ধরিত্রীমাতাকে অক্ষত রেখে প্রত্যেকটি মানুষের মৌলিক মানবাধিকারগুলোকে অর্জন করা। হিসেবের খাতার শুকনো প্রবৃদ্ধি নয় , ভারসাম্য ও সমতাপূর্ণ সমৃদ্ধি হোক আমাদের লক্ষ্য। প্রবৃদ্ধি নয় আমরা চাই সমৃদ্ধি।
দুই- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর ও তার প্রভাব খুঁজে বের করাঃ প্রচলিত অর্থনীতির দুষ্ট চক্র হলো–ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে লোকে লাভ মজুরি পাবে, তারা খরচ করলে সে টাকা আবার ব্যবসায় চলে যাবে, লাভের টাকা ব্যবসায়ী আবার বিনিয়োগ করবে, আর এই ভাবেই অর্থনীতি ফুলেফেপে উঠবে, মানুষ ধনী হবে। এ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বাজারকে দেখানো হয়েছে মহাপরক্রমশালী হিসেবে, ব্যক্তি এবং পরিবারকে দেখানো হয়েছে সংকীর্ণ- স্বার্থপর হিসেবে, রাষ্ট্রকে দেখানো হয়েছে অথর্ব ও ঝামেলাকারী হিসেবে, সঙ্ঘবদ্ধ সমাজকে দেখানো হয়েছে অক্ষম হিসেবে (ট্রাজেডি অফ কমনস)- যারা একসাথে সবাই মিলে সকলের মঙ্গল করতে পারে না । এ ভুল থেকে বের হয়ে আমরা যদি সামাজিক মূল্যবোধ ও প্রকৃতিকে সামনে রেখে সঙ্ঘবদ্ধ সমাজের ক্ষমতা, রাষ্ট্রের সদিচ্ছা, ব্যক্তি- পরিবারের সঠিক ভূমিকা ও বাজারের সহজাত ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারি তাহলেই আসবে আমাদের প্রকৃত মুক্তি।
তিন- মানুষ ধরো মানুষ ভজঃ প্রচলিত অর্থনীতির গোড়াতেই গলদ। এখানে মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়নি- গণ্য করা হয়েছে শয়তানের খালাতো ভাই হিসেবে। অ্যাডাম স্মিথের 'র্যাশনাল ইকনমিক ম্যান' প্রচন্ড স্বার্থপর, হিসেবী, স্থবির, আত্মপ্রেমী যারা নিজের সামান্য স্বার্থের জন্য এ পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষদের নিজ হাতে জবাই করে। তত্ত্ব এবং এই তত্ত্বের চর্চা গুলি মানুষকে আরো বেশি ধ্বংসাত্মক করেছে। কিন্তু মানুষ আসলে এতটা অমানুষ না। তারা সামাজিক, একে অন্যের উপর নির্ভরশীল, পরিবর্তনশীল, মূল্যবোধ বিশ্বাসী। তারা প্রকৃতির কোলে বেড়ে উঠা প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতিকে অত্যাচার না করে অর্থনৈতিকভাবে সব দেশের সব মানুষের কল্যানের জন্যই গড়ে উঠুক অর্থনীতি।
চার- সিস্টেমকে উপলব্ধি করাঃ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ধার করা চাহিদা ও যোগানের সাম্যবস্থা মানব মুক্তির পথ দেখাতে পারবেনা। মানুষের দরিদ্রতা, অসমতা, অসাম্য, বঞ্চনা, উন্নয়ন, অগ্রগতি পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। ভুলভাল জিনিস না শিখে অর্থনীতির পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত এই কমপ্লেক্স সিস্টেমকে অনুধাবন করাটাই আমাদের অনেক দূরে এগিয়ে নেবে।
পাচ- সুফল ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সিস্টেম গড়ে তোলাঃ লোকের ইনকাম বাড়লে প্রথমে বৈষম্য বাড়বে, পরে ইনকাম আরো বাড়ার সাথে আস্তে আস্তে বৈষম্য হ্রাস পাবে–ফালতু এ ধরনের একটি কনসেপ্ট এর উপর ভিত্তি করে গত ১০০ বছর ধরে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু আছে। ইনকাম বেড়েছে- বৈষম্য বেড়েছে, অধিকতর ইনকাম বেড়েছে - বৈষম্য আরও বেশি বেড়েছে। বৈষম্য উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হতে পারে না। বিশ্বাসের গোড়ায় আঘাত করে নতুন ধরনের বন্টনমূলক সিস্টেম গড়ে তুলতে হবে। সম্পদ যথা -ভূমি, ব্যবসা, প্রযুক্তি, জ্ঞান এবং অর্থ আয়ের যেকোনো বৈধ পন্থাকে সফল করার জন্য রিডিস্ট্রিবিউটিভ পলিসি তৈরি করতে হবে।
ছয়- রিজেনারেটিভ (পুনঃ পুনঃ তৈরি) উৎপাদন ব্যবস্থা চালু করাঃ প্রচলিত অর্থনৈতিক তত্ত্বে ভাল পরিবেশ লাক্সারি, উন্নয়ন হলে পরিবেশ নিয়ে পাছে ভাবা যাবে। আসলে বাস্তবে এটা কখনো হয়নি, হবেও না। তাই যা কিছু ভাল একসাথেই হবে, এখুনি হবে– সেভাবেই ইণ্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন করতে হবে। যেভাবে শিল্পকারখানা এই মুহুর্তেই সবদিক দিয়ে ভাল কিছু দিতে পারবে সেভাবেই আগানো উচিত। এ পৃথিবীর জন্য যা কিছু এখন ভাল, সেভাবেই সবকিছু বেছে নেয়া উচিত। একই জিনিস বার বার তৈরি করে পরিবেশে ছেড়ে না দিয়ে রিসাইকেলকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়ার সময় এখন।
সাত- জিডিপির চিন্তায় ঘুম হারাম না করাঃ আজকের প্রবৃদ্ধি কি শুধুই প্রবৃদ্ধি না সমৃদ্ধি? অর্থণীতির এক শুভংকরের ফাকি হচ্ছে জিডিপির প্রবৃদ্ধি। শত কোটি ইকুয়েশন- গ্রাফের পাতায় দেখানো আছে জিডিপি বাড়ছে। ৩%, ৫%, ৭% ইত্যাদি নানা পার্সেন্টে জিডিপি বাড়ছে ২০২৫, ২০৩০ কিংবা ধরা যাক ২০৫০ পর্যন্ত। কিন্তু এরপর? এ বৃদ্ধি কি অনন্তকাল চলতেই থাকবে? আবার যতদিন বাড়বে তার জন্য এ পৃথিবীকে কতটুকু মুল্য দিতে হবে? প্রচলিত অর্থনীতিতে জিডিপির বৃদ্ধি মাস্ট। কিন্তু কোনো হিসেবেই অনন্তকাল এ ধারা চলবে না। এমন কোন গ্রাফ বা ইকুয়েশন কেউ দেখাতে পারেনি যেখানে অনন্তকাল ধরে প্রবৃদ্ধি চলতেই থাকে। জিডিপিকে অস্বীকার করা কঠিন হলেও বেশি বিপদজনক হলো এর ঘোর ও নেশা না কাটা। নেশা কাটিয়ে চিন্তা করতে হবে সামষ্টিক সমৃদ্ধির কথা। আর্থিক-সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে যতদ্রুত আমরা প্রবৃদ্ধির নেশা থেকে বের হয়ে আসতে পারব তত দ্রুত আমাদের সামষ্টিকভাবে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারব।
তবে এ লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে বাধা আছে অজস্র। খালি চোখে দেখা প্রধানবাধা গুলো হলোঃ
১. শয়তানী পুজিব্যবস্থাঃ প্রচলিত পুঁজি ব্যবস্থায় শুধুমাত্র লাভের গুড় পিঁপড়ে কে দিয়ে খাওয়ানোর লোভ দেখানো হয়েছে। অনেক অনেক গুড় তৈরি হবে, চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়বে, আর সেই উচ্ছিষ্ট পিঁপড়ারা (মজুর-চাকুরিজীবীরা) কুড়িয়ে কুড়িয়ে খাবে। আর এই শয়তানির প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে প্রচলিত ট্যাক্স সিস্টেম। এই সিস্টেমে আপনি মজুরি-চাকুরিজীবীদেরকে টাকা দিলে সেখান থেকে ট্যাক্স বের হয়ে যায়। কিন্তু সে টাকা না দিয়ে মেশিন- রোবট- প্রযুক্তি কিনলে দেখানো হয় capital investment হিসেবে। অর্থাৎ প্রচলিত সিস্টেম ডিস্ট্রিবিউটিভ নয়। এর রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে গরিব মারার কল, পুঁজি কুক্ষিগত করার নীল নকশা।
২. রাজনীতিবিদদের জুজুঃ বলদ জনগণকে জিডিপি বৃদ্ধি ছাড়া আর কোন কিছু দেখানোর নাই, এই একটাই আছে যা গ্রাফে-সমীকরণে-ছবিতে- বক্তৃতায় তুলে ধরা যায়। রাজনীতিবিদরা মনে করেন মানুষের সুখ, সমৃদ্ধি, মূল্যবোধের উন্নয়ন, আত্মিক উন্নতি, পরিবেশের ভারসাম্য এসব হয়তো জনগণকে বোঝানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে। ভোট যুদ্ধের ভালো কোন অস্ত্র এগুলো হয়তো নয়। তাই দরকার শৈনঃ শৈনঃ জিডিপির প্রবৃদ্ধি।
৩. তাত্বিক মাস্টারমশাইদের পেটে লাথিঃ যা শিখেছি সারা জীবন ধরে, চর্চা করেছি জীবিকার তরে, যা আমার অন্ন যোগায়, তাকে হঠাৎ করে অস্বীকার করি কিভাবে? অকার্যকর এই অর্থনৈতিক সিস্টেম, অপ্রয়োজনীয় এই তত্ব- সমীকরণ বাতিল বলে গ্রহণ করলে আমাকে ভাত দেবে কে? তাই দুনিয়া জুড়ে একাডেমিসিয়ান, প্রচলিত অর্থনীতি চর্চাকারীরা স্বাভাবিকভাবেই ছেড়ে দিতে চাইবেন না তাদের একমাত্র অবলম্বনকে।
এত কিছুর পরেও আশার খবর হল দুনিয়ার সেরা সেরা অর্থনীতি স্কুলের বিপ্লবী কিছু মহৎপ্রাণ ছাত্র-শিক্ষকরা সিস্টেমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বর্তমান অর্থনীতির সিলেবাস কারিকুলাম কে অস্বীকার করেছেন। ইউরোপের কিছু দেশ পাইলট আকারে নতুন চিন্তাগুলো নিয়ে কাজ করছে। মানবিক রাজনীতিবিদরাও জিডিপির পাশাপাশি গুরুত্ব দিচ্ছেন Genuine Progress Indicator (GPI), Index of Human Development (HDI), Human Poverty Index (HPI), Gross Domestic Happiness (GDH), Index of Sustainable Economic Welfare (ISEW), Happy Planet Index, Ggreen GDP, Median income, Well-Being index সহ নানা অন্তর্ভুক্তিমুলক ধারণাগুলোকে।
আধুনিক অর্থনীতির আব্বাজান জন মেয়নার্ড কিনস একদা বলেছিলেন, একজন মাস্টার ইকোনোমিস্ট অতীতের আলোকে, ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে বর্তমানকে নিয়ে কাজ করবেন। তার সমসাময়িক জোসেফ স্টিগ্লিটজ বলেছেন, যদি অর্থনীতি চর্চা করো তাহলে খুব সন্দেহ নিয়ে করবে, সারা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় যে ছবিটি তোমার মাথায় রাখা যায়, সেটি রাখবে।
প্রচলিত অর্থনীতির কোন তত্বই স্বর্গীয় কোন বাণী নয়, কিংবা নয় বাইবেল- কোরআন- গীতা। তাই এ পৃথিবীর বৃহত্তর স্বার্থে, বাসযোগ্য একটি সুন্দর ভবিষ্যতের লক্ষ্যে বর্তমানে প্রচলিত সকল অসুন্দর, অচ্ল, জরা, অপ্রয়োজনীয়কে নির্মমভাবে আঘাত করতে হবে, ছুড়ে ফেলতে হবে দৃষ্টিসীমার বাইরে।
“লাথি মার ভাঙরে তালা–” কাজী নজরুল ইসলাম।
*লেখায় ডোনাট মডেলের স্ট্রাকচার নিয়ে কিছু বললাম না, কারণ মোটামুটি সব কিছুই লেখায় আছে- শুধু বইটি পড়লে স্ট্রাকচারটি ভালো করে দেখতে পাবেন। কেইট রাওয়ার্থকে অ্যাডাম স্মিথ বা কার্ল মার্কস হিসেবে না ধরলেও, তাকে একবিংশ শতাব্দীর জন মেইনার্ড কিনস বলা যেতেই পারে।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন