শত্রু নয় বন্ধু
শত্রু বা কম্পিটিটর খুব আন্ডাররেটেড একটা বিষয়। মানুষ মনে করে এরা খালি ক্ষতি করে। ব্যাপারটা আসলে উল্টা।
আমি আপনি কতদূর যাব এটা বোঝা যাবে আমাদের শত্রুদের কোয়ালিটি দেখে। আপনি জানেন এরা আপনার অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত। যে কোন সময় বাশঁ দিতে পারে। আপনার কাজ হলো ডিফেন্স তৈরি করা, নিজেকে আরেকটু উচুঁতে নেয়া, যাতে তারা নাগাল না পায়। এভাবেই মানুষ বড় বড় শত্রু লালন-পালন করে নিজেকে অনেক উচুঁতে নিয়ে যায়।
শত্রু লালন-পালন করা এনিম্যাল হাসবেন্ড্রির মতই একটা এপ্লায়েড সায়েন্স। গরুর খামারে লাভ করতে চাইলে প্রথম শর্ত ভাল জাতের বাছুর বা বকনা বাছাই করতে হয়। আমাদেরকেও উচুঁ জাতের শত্রু বাছাই করা উচিৎ। ভালো হয় আমাদের চেয়ে কয়েক ধাপ উপরের। নিচু জাতের শত্রু কোন কাজের না। এরা এখানে সেখানে একটু বদনাম করবে, বা চুলকিয়ে দেবে। তাদের পেছনে সময় দিলে আপনি প্রফিট করতে পারবেন না। হুদাই সময় নষ্ট, এনার্জি নষ্ট।
এমন কেউ নাই এই মুহুর্তে? তাহলে আপনি দিনে দিনে লেইম বা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছেন। এটা একটা বাজে ব্যাপার হতে যাচ্ছে। ইউ উইল স্টপ গ্রোয়িং। মানুষ কখনোই স্ট্যাগনেন্ট থাকে না। উপরে যাওয়ার পুশ না থাকলে , চেষ্ঠা না থাকলে পিছিয়ে যায়। তার তুলনায় অন্যরা এগিয়ে যায়। শত্রু না থাকলে পুল করবে না কেউ, পুল না করলে ভালো পুশ আসবে না। নিউটনের তিন নম্বর সুত্র।
সুতরাং খুঁজতে থাকুন। মোটামুটি ভাল উচুঁ জাতের পাইলে পায়ে পাড়া দিয়ে শত্রু বানায়ে নেন। কাজে লাগবে। গালিগালাজ , বকাবাদ্য কোন কাজের না। উল্টো মনে মনে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। আপনার অগ্রগতি তাদের অবদান। তারা আপনার জন্য সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত আশীর্বাদ। নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনাকারী।
রিপোস্ট। ফটোগ্রাফার : আনিস শেখ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন