পোস্টগুলি

উৎসবের অর্থনীতি

ছবি
 সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের এই মুহূর্তে নিজস্ব সংস্কৃতি হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন ডে পালন, ইংরেজি নববর্ষ পালন, হ্যালোউইন পালন কিংবা মা দিবস/ বাবা দিবস পালন! এই দিবসগুলো পালনে সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়েন, উইশ করেন, কে কি করছেন সবাইকে জানান, বাজি পটকা ফোটান, বেলুনে আগুন ধরিয়ে আকাশে উড়ান। এগুলো এদেশে হয় মোটামুটি বিনা বাধায়, কোন রূপ তীব্র সমালোচনা ছাড়াই। ভ্যালেন্টাইন ডে পালন, ইংরেজি নববর্ষ পালনের উম্মাদনা রিলিজিয়াস প্র্যাকটিস লেভেলে চলে গেছে। আমি ২ বছর আমেরিকা ছিলাম। বাংলাদেশে এসব নিয়ে যতটা উন্মাদনা, সেখানে এর কানাকড়িও নেই। বিগত কয়েক বছরে জাঁকজমক হ্যালোউইন পালনে আমরা প্রায় আমেরিকাকে ধরে ফেলেছি। অন্ততপক্ষে মাতামাতির দিক দিয়ে। ইউরোপ আমেরিকা এসব বিষয়ে আমাদের দেশে রপ্তানি করতে চেয়েছিল কিনা জানিনা, তবে সফট পাওয়ার হিসেবে এগুলো আমরা বেশ ভালোভাবেই আমদানি করেছি। আমি দেখেছি বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে যেভাবে ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করা হয়, পহেলা বৈশাখ ধারে-পাশেও নেই। যতটুকু হয় সরকারি সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায়। মফস্বলের সবচেয়ে মহা চোর এবং ধড়িবাজটাও পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠ...

বিনির্মাণঃ ধ্বংসাত্মক সমালোচনার বৈধতা

ছবি
দেরিদা এই মুহুর্তে বাংলাদেশে খুব প্রাসঙ্গিক। দেশে সাহিত্যিক, চিন্তক বা টেক্সট মেইকারদের সাম্প্রতিক অনলাইন গোলাগুলি ও মারামারি দার্শনিক জাক দেরিদার ‘Deconstruction বা বিনির্মাণ’ নিয়ে নতুন করে আলোচনা করার সুযোগ করে দিয়েছে। ভাষা অত্যন্ত সীমাবদ্ধ একটি মাধ্যম। ভাষার মাধ্যমে আমরা সর্বশেষ চূড়ান্ত কোন ধারণা পেতে পারি না। কারণ ভাষা অস্থির, সময়ের সাথে পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। আজ যা বোঝাচ্ছে, কাল তা নাও বোঝাতে পারে। আপনি যা বুঝছেন আমি তার উল্টোটা বুঝতে পারি। আমি এখন যা বুঝছি পরে আমার কাছে প্রয়োজন অনুযায়ী এর অর্থ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ ভাষার বাজারে চিরস্থায়ী ‘বেদবাক্য’ বলে কিছু নেই । আপনি যে কোন টেক্সট বা লেখাকে সমালোচনা করতে পারবেন , নিজের মত করে ব্যাখ্যা বা সমালোচনা করতে পারবেন। সমালোচনার অধিকার সকলের। আপনি যে কোন লেখা বা টেক্সটকে গুরু-লঘু, হালকা- ভারী, সাদা-কালো , ভালো-মন্দ বলতে পারেন। কিন্তু বিনির্মাণে এইসব বাইনারি বিশেষণকে অস্বীকার করা হয়েছে। ভালো মানে আপনার কাছে ভালো, আমার কাছে মন্দ হতে পারে- এবং এটা বলার অধিকার আমার আছে । আসলে এই ধরনের সকল বাইন...

প্রশান্ত বুদ্ধ

ছবি
  কিভাবে বুদ্ধের শিক্ষা ও দর্শন এত দ্রুত সারা দুনিয়া ছড়িয়ে যায়, কি কারণে  বুদ্ধ নিষ্কণ্টকভাবে  ধর্ম প্রচার করতে পেরেছিলে্‌ন,  আর কেনইবা তার ধর্ম-দর্শন  সারা পৃথিবীতে সগৌরবে বিরাজ করলেও জন্মভূমি ভারতবর্ষে মিইয়ে গেছে? বুদ্ধ ছিলেন রাজপুত্র।  তিনি পেয়েছিলেন তৎকালীন এ এলাকার সমস্ত রাজাদের আনুকূল্য। সর্বভারতীয় সম্রাট অশোক,   মগধের রাজা বিম্বিসার, কৌশল্যের  রাজা প্রসেনজিৎ,  সাচি ও বারহুতের শাসনকর্তা, রাজা মিনান্দারসহ   উত্তর-পশ্চিম ভারতের গ্রিক বংশদ্ভুত  শাসকগণ  সকলেই উদারভাবে বুদ্ধের মত গ্রহণ করেছে ও প্রচারে সাহায্য করেছে।  স্বাভাবিকভাবেই,  বুদ্ধের বাবা ও তার সমসাময়িক রাজাগণ সকলে উদার চিত্তে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন এবং এ ধর্মের মহিমা প্রচার করেন । কুষাণ  সম্রাট কনিষ্কের চেষ্টায় প্রথম শতাব্দীতে বৌদ্ধধর্ম পৌঁছে যায় কাশ্মীর, ইরান,  আফগানিস্তানের কাছাকাছি। শীঘ্রই চীনসহ মধ্য এশিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে বৌদ্ধধর্ম।  সম্রাট অশোক শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া,  লাউস, থাইল্যান্ডবাসীদের কাছে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পাঠান । আজ থেকে ১...

মসলাদার ইতিহাস

ছবি
  উপনিবেশায়নের ইতিহাস রক্তাক্ত। তবে ভারতীয় উপমহাদেশসহ পূর্ব-ভারতীয় দীপপুঞ্জ অঞ্চলের উপনিবেশায়নের ইতিহাস শুধুমাত্র রক্তাক্তই নয়– এ ইতিহাস অধিকতর মসলাযুক্ত। আধা কাঁচা, পোড়ানো স্বাদহীন মাংস, মাছ, মদসহ অন্যান্য ইউরোপীয় খাবারের মধ্যে গোলমরিচ ও লবঙ্গের গুড়ো ছিড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজনীয়তা পৃথিবীর ইতিহাসকে গড়ে তুলেছে নতুনভাবে।   কালিকট শুধু ভারতবর্ষের প্রধান বন্দর ছিল না, ছিল ইতিহাসের দরজা। দিনে দিনে কালিকট হয়ে উঠেছিল এক মৌচাক, সারা দুনিয়ায় এর মধুর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। আকারে ছোট হলেও, দুই হাজার বছর ধরে এর বাণিজ্যিক সমৃদ্ধি গড়ে তুলেছে ভারতবর্ষের দ্বার হিসেবে। প্রধান বাণিজ্য মসলা, ভারতবর্ষের বাইরে মালয়-ইন্দোনেশিয়া হতে উৎপাদিত মসলাও চলে আসতো কালিকটে। এই মশলা বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি জড়িত ছিল ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধের সাথে। নামে ধর্মযুদ্ধ হলেও এ যুদ্ধে বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল আরো বেশি। ধর্ম যুদ্ধের শুরুতে ইউরোপীয় শক্তি সাফল্য লাভ করলেও পরের দিকে ৪র্থ ক্রুসেডে মুসলমানরা বীর সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করে এবং মিশর দখল করে নেয়। ...

ডোনাট মডেলঃ প্রয়োজন নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোর

ছবি
  – ভাত দিবার পারোস না ভাতার হবার চাস-  কেমন মরদ তুই হারামজাদা?-কাজী রোজী প্রচলিত এই অর্থনীতি কিছুই দিতে পারেনি।  পৃথিবীর সবাইকে দুবেলা দুমুঠো ভাত দিতে পারেনি,  সবার মাথা গোঁজার  ঠাই দিতে পারেনি। প্রতিরোধ দূরের কথা,  এ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা  নিজেই বলতে পারে না সে কবে  ধ্বসে পড়বে।  অল্প কজন মানুষকে সম্পদের পাহাড় গড়তে দিয়ে,  সকলকে করেছে নিঃস্ব- - এ প্রকৃতি ও পরিবেশকে করেছে রিক্ত।  পুরনো আমলের বাসী-পচা এ তত্ত্বগুলো আমরা আওড়ে যাই,  পড়ে যাই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে।  ধরে নেই এ জিডিপির গ্রোথ,  সাপ্লাই-ডিমান্ড থিওরি কিংবা, নিউটনের পদার্থ বিজ্ঞানের  অনুকরণে  জোর করে তৈরি  স্লিম-সেক্সি- অর্থনৈতিক সমীকরণগুলো আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করবে।  কিন্তু হায়! এ বড্ড  সেকেলে, অপ্রয়োজনীয্‌  চাপিয়ে দেওয়া তত্ত্ব ও প্রয়োগ চেপে বসেছে সিন্দাবাদ এর ভূতের মত- না আমরা পারি ছেড়ে দিতে- না সে আমাদের ছেড়ে যায়।   প্রচলিত এই অর্থনীতি শেখায় যোগান-চাহিদার সাম্যবস্থা তৈরি করা; বছর বছর লাফিয়ে লাফিয়ে গ্...

ইয়োভাল নো. হারারি কি বলতে চান?

ছবি
  আসলে তিনটা বই এর রিভিউ একসাথে দেয়া যায় না, তাই রিভিউ হিসেবে না দেখে পরিচয় হিসেবে দেখতে পারেন। ইয়োভাল নোয়াহ হারারিকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই, তার একটি বই পড়লে বাকি দুইটিও নিজ থেকেই পড়ে নেবেন-এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। বলছি সেপিয়েন্স, হোমো ডিউস ও ২১ লেসন্স ফর দ্যা টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি --এই তিন বই এর কথা। সেপিয়েন্সঃ এটি বহুল পঠিত , প্রচলিত। স্বল্প পরিসরেই ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করেছেন। তুলে এনেছেন কিভাবে ধাপে ধাপে মহাবিশ্বে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আফ্রিকার জংগল হতে কিভাবে মানুষ কিভাবে সারাদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ৭০হাজার বছর আগের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ , ১০ হাজার বছর আগের কৃষি বিপ্লব ও কয়েকশ বছর আগের শিল্পবিপ্লবের হাত ধরেই মানুষ এগিয়েছে। সেপিয়েন্স তার নিজের অগ্রগতির জন্য ধ্বংস করেছে লক্ষ লক্ষ প্রজাতির প্রাণী ও বৃক্ষ । তবে তার গল্প তৈরির ক্ষমতার কারণে সংগঠিত হয়ে ছাড়িয়ে গেছে সকল প্রাণিকুলকে, পৃথিবীর শাসক এখন মানুষ। হোমো ডিউসঃ হারারি এ বইতে ভবিষ্যতের মানুষ নিয়ে কিছু আভাস দিয়েছেন । দ্রুত অগ্রসরমান আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স , বায়োটেকনল...

সজল রোশানের ' রিলিজিয়াস মাইণ্ডসেট' কেমন?

ছবি
  ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর শুধু খুজেই গেছি, বিভিন্ন সোর্সে ঢু মেরেছি, বেশিরভাগ সময় কনফিউজড হয়েছি। কোথা থেকে আসল শিয়া -সুন্নি, হানাফি, হাম্বলি, শাফেয়ী, আহলে হাদিস, সুফিবাদ, তাব্লীগ, পীরবন্দনা ইত্যাদি নানা জানা অজানা ভাগ -উপভাগ? ফাজায়েলে আমল, ফাজায়েলে জিকির, মুক্সুদুল মুমিনীন, সিহাহ সিত্তাহ সহ নানা প্রখ্যাত- অখ্যাত হাদিস, ফিকাহ, তাফসির বই এ লেখা একেক দর্শন, ব্যাখ্যা, সমাধান, নির্দেশনা মাঝে মাঝেই কনফিউজিং মনে হয়েছে৷ একেকটার সাথে আরেকটা মেলে না, কিছু সরাসরি জানাশোনা কোরানের আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হত। আমাদের প্রচলিত আচার, অনুষ্ঠান, উতসব, পোশাকি, কালচার, জমায়েত, হুজুর, মুরুব্বী, গ্রুপিং ভিত্তিক ধর্মচর্চা কতটা সঠিক? আল্লাহ তায়ালা যেখানে কোরানকে কম্পলিট ও ডিটেইল জীবনাদর্শ হিসেবে ঘোষণা করেছেন কিন্তু কোরানের ব্যাখ্যা বা অস্পষ্টতার দোহাই দিয়ে সহস্র অপ্রয়োজনীয় হাদিস, তাফসির, ফিকাহ, ইজমা কিয়াস দিয়ে ধর্মকে কতটা কলুষিত করেছি? এসবের কোরানিক ভিত্তিটাইবা কি? আর এ পলু্শনগুলো কখন কিভাবে হয়েছে? আল্লাহ তায়ালা নিজেই যেখানে বিশ্বাস ও সতকর্মকে জান্নাতের পূর্বশর্ত দিয়েছেন, বলেছেন যারা...

পুরানা পল্টন ( পদ্য)

  সিটি কর্পোরেশনের হলুদ আলোয় অনন্তকাল মাটির নিচে মূল্যবান খনি খনন, আর টোকাই বালকদের পলিব্যাগে জুতার আঠার সাথে লেগে থাকা ঢুলু ঢুলু হেঁটে চলা রাস্তার মোড়ে পরিনামদর্শী ট্রাকড্রাইভারদের হুটহাট এলোমেলো ব্রেক কষা নেড়িকুত্তা দলের একত্রে ঘেউ ঘেউ কমিউনিস্ট বিল্ডিংএ আবছা অন্ধকার বারান্দায় নিকোটিনমেলা বাঁশিওয়ালা পুলিশের ঘুমভাঙ্গানি গানের সুরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয় ফুটপাতবাসী আর এলোমেলো বাতাসে উড়ে আসা হঠাৎ ধুলিঝড় খুক খুক কাশি অসহায় চাহনি ভালোবাসা বিক্রির আসায় ভালোবাসার ফেরিওয়ালা চোখের জল বাষ্প হয়ে মিশে যায় ট্রাকের ধোয়ায় মোড় যেন এক আশ্চর্য ঘোরলাগা। - শূন্যের পেছনে ছুটে চলা শূন্যের শূন্যতা খুঁজে ফেরা আর শূন্যের গান গাওয়া গভীর রাতের জীবন যেখানে আমায় বানায় আর্যভট্ট আর্য-সিদ্ধান্তের পুরান পল্টন মোড় ভালবাসার মত শুধুই শূন্যতা আর পাই এর মত দুপায়ে শুধুই ঝুলে থাকা।

ছফার পুষ্প বৃক্ষ ও বিহঙ্গ পুরান বইতে কি আছে?

  ধরুন আপনি আহমেদ ছফার কোন বই আগে পড়েন নি, তাকে তেমন ভালো ভাবে জানেন না।   এ বইটি পড়ে বড় মাপের একজন আউলা টাইপ হিসেবে আবিষ্কার করবেন। একজন মানু্ষ কিভাবে একধরণের ঈর্ষণীয় আনন্দঘন জীবনযাপন করতে পারেন -যেসব আনন্দ আমরা সাদা চোখে বা চশমা লাগিয়ে কোনভাবেই খূজে পাই না! এই আনন্দগুলো আবিষ্কার করে  তিনি দেখিয়েছেন ' পুষ্প বৃক্ষ ও বিহঙ্গ পুরান' বইয়ে। আপাত দৃষ্টিতে অনর্থক কিংবা দৃষ্টির সীমানার বাইরে  থাকা ছোট ছোট বিষয়গুলো কিভাবে নিজের মত পরিচর্যা করে আনন্দ খুজে বের করে নিতে হয় ছফা নতুন করে শিখিয়েছেন। আমাদের পাশে পড়ে থাকা পতিত জমি, বাসার কোনার পাখির বাসা কিংবা পাখির গান কিংবা রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো টোকাই শিশুদের বাল্য শিক্ষার আয়োজন- সবকিছুই ছফাময় করে তুলেছেন লেখক তার এ বইয়ে। পতিত জমি আবাদের কথা বলেছেন , ক্ষুধার্তকে আয়োজন করে  খাওয়ানোর কথা বলেছেন। প্রচন্ড হিউমার,  মেটাফোর আর সার্কাজম এ বইয়ের মুল শক্তি। উপন্যাসের আদলে লেখা তার খন্ডিত আত্বজীবনী। আধুনিক গদ্যসাহিত্যের বড় একটি অংশ যেমন কাফকায়েস্ক বা কাফকায়িত, আমার মতে, ছফা পরবর্তী  সময়ের বাংলা সাহিত্য উল্লেখযোগ্য অংশ ছফায়িত। বই...

রিচেস্ট ম্যান ইন দ্যা ব্যাবিলন বইয়ে কি আছে?

  পৃথিবীর বুকে প্রথমদিককার আধুনিক সভ্যতা ব্যাবলনীয় সভ্যতা। প্রচলিত যে আর্থিক কাঠামো আমরা ব্যাক্তি ও রাষ্ট্রিয়ভাবে দেখতে পাই তার শুরুটা ব্যবলনীয়দের হাত ধরে। প্রথম মুদ্রা,  নোটের প্রচলন থেকে শুরু করে ব্যাংক, বীমা, ইন্সুরেন্স, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ফান্ড,  মিউচুয়াল ফান্ড ও  শেয়ার মার্কেটের অনেক কন্সেপ্ট পৃথিবীতে এসেছে ব্যবলনীয়দের হাত ধরে। তাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামো, সম্পদের  নিরাপত্তা ব্যাবস্থা আধুনিক যুগের অনেক তৃতীয় বিশ্বের দেশের জন্য ঈর্ষণীয়। এটি ছিল ধনীদের শহর, তারা জানত কিভাবে পরিশ্রম ও বুদ্ধির মাধ্যমে কাজ,  ব্যবসা ও  বিনিয়োগ করে আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করা যায়। এ বইটিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ধ্বংসাবশেষ হতে উদ্ধারকৃত প্রস্তর ও মাটির স্লেটে লিপিবদ্ধ করা ব্যাক্তিগত আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য কিছু দুর্দান্ত ও অকল্পননীয় নীতিমালা। আসলে এ সময়ে ব্যাক্তিগত  আর্থিক ব্যবস্থাপনা  স্বম্পর্কে মোটিভেশনাল বই লিখা হয়  যেসব বই এর আব্বাজান হচ্ছে এই বইটি।  শুন্য হতে আর্থিক স্বচ্ছলতা পাওয়ার জন্য কি কি পন্থা অবলম্বন করা হত ,  কিভাবে কি পরিমাণ সঞ্চয় ও বিন...

গরু ও গাধার গল্প

  গরু ও গাধা দুই বন্ধু। মালিক গরুকে দিয়ে হালচাষ করায়,  ঘানি টানায়, সারদিন খাটায়। অপরদিকে গাধা প্রয়োজন হলে মাঝে মাঝে বোঝা টানে বাকি সময় ঘুমায়, রেস্ট নেয়। গরু তার কষ্ট হতে বাচতে পরামর্শ নেয় গাধার কাছে। গাধা বলে, তুমি মাঝে মাঝে অসুস্থতার ভান করবে। গরু মাঝে মাঝেই করে এবং আরাম করে। সেটা তার অভ্যাস হয়ে যায় এবং মাঝে মধ্যেই টানা কয়েকদিন অসুস্থ থাকে। মালিক উপায় না দেখে গাধাকেই ঘানি ও হালচাষে লাগিয়ে দেয়। গাধার এখন দুজনেরই কাজ করতে হয়। অপরদিকে গরু থেকে ভাল সার্ভিস না পেয়ে মালিক একদিন  গরুকে জবাই করে খেয়ে ফেলে। গাধার তারপর হতে পার্মানেন্টলি দুটার কাজই করতে হয়। মোরালঃ অর্বাচীন লোককে পরামর্শ দিয়ে নিজের ও তার বিপদ ডেকে আনা। সুত্রঃ দ্যা রিচেস্ট ম্যান ইন দ্যা ব্যাবিলন। লেখকঃ জর্জ ক্ল্যাসন।

সাপের মুখে ব্যাঙ

  এক ব্যাক্তি লেইকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিল আর চকোলেট বার খাচ্ছিল। হঠাত দেখতে পেল একটি সাপ মুখে ব্যাঙ ধরে রেখেছে,  ব্যাঙটি চিৎকার করছিল। লোকটির খারাপ লাগল এবং সে সাপটির মুখ হতে ব্যাঙটি সরিয়ে দিল। ব্যাঙ লাফাতে লাফাতে চলে গেল। এতে লোকটি খুশি হলেও পরে সাপের কথা ভেবে তার মন খারাপ হয়ে গেল। আহা, সাপটি এখন কি খেয়ে থাকবে? তিনি সাপের দিকে চকোলেট বারটি ছুড়ে দিলেন। সাপটি সেটি নিয়ে চলে গেল। লোকটি ভাবল, এখন ব্যাঙ খুশি, সাপ খুশি, আর আমারো অনেক ভাল লাগছে।। কিছুক্ষন পর পাশেই পানিতে শব্দ শুনতে পেল। সে তাকাল এবং সাপটিকে আবার দেখতে পেল। এবার সাপের মুখে দুটি ব্যাঙ। মোরালঃ পুরস্কৃত করার ব্যাপারে সাবধান। যা পুরস্কৃত হবে তাই ফিরে ফিরে আসবে।। সুত্রঃ দ্যা  ৩৬০° লিডার, জন সি ম্যাক্সওয়েল, পৃঃ ২৪১

প্রথম আলোয় ক্যারিয়ার বিষয়ক সাক্ষাৎকার

  পত্রিকা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়লে চাকরির পরীক্ষা সহজ হয় নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ১০ জুলাই ২০২০, ১১: ৩৭  তৌহিদ এলাহী > বাংলাদেশের তরুণেরা তাঁদের ক্যারিয়ার নিয়ে নানা ধরনের স্বপ্ন দেখেন। কেউ কেউ বিসিএস ক্যাডার হতে চান, কেউবা আইবিএ বা ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে এমবিএ করে করপোরেট জগতে রাজত্ব করতে চান। আবার কেউ যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা উন্নত দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী। ৩০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী ধাপে ধাপে তিনটি সুযোগই গ্রহণ করেছেন। নানামুখী অর্জন, কর্মকাণ্ড ও পড়াশোনাপদ্ধতি প্রভৃতি নিয়ে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোছাব্বের হোসেন।  প্রশ্ন: আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন? তৌহিদ এলাহী: স্কুলজীবন কাটিয়েছি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলায় আমার গ্রামের জোরখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জোরখালী উচ্চবিদ্যালয়ে। এখান থেকে ২০০২ সালে জিপিএ-৩.৭৫ নিয়ে এসএসসিও ২০০৪ সালে জিপিএ-৪.৭০ নিয়ে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ জামালপুর থেকে এইচএসসি পাস করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে প্রথম শ্...