পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আধুনিক আমলাতন্ত্র: ওয়েবার থেকে ইভানস

ছবি
সূত্র: প্রুশিয়ার ইতিহাস (১৬ শতক থেকে ২০ শতকের প্রথমার্ধ) ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।  একটি ছোট সামন্ততান্ত্রিক অঞ্চল হিসেবে শুরু করে, পরবর্তীতে এটি জার্মানির সবচেয়ে শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত হয় এবং জার্মান একীকরণের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠে।  সামরিক নিয়ন্ত্রণ, আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি, এবং ইউরোপীয় ক্ষমতার ভারসাম্যে প্রুশিয়ার প্রভাবশালী ভূমিকা রয়েছে। প্রুশিয়া আজ আর রাষ্ট্র হিসেবে নেই, তবুও ইউরোপের ইতিহাসে এর গভীর প্রভাব রয়েছে। ফ্রেডরিক দ্য গ্রেট (১৭৪০-১৭৮৬) প্রুশিয়াকে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করেন। ওটো ভন বিসমার্ক জার্মানির একীকরণের প্রধান কারিগর ছিলেন। ১৮৭১ সালে ফ্রাঙ্কো-প্রুশিয়ান যুদ্ধের পর প্রুশিয়া জার্মান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে, এবং প্রুশিয়ার রাজা উইলহেম প্রথম জার্মানির সম্রাট হিসেবে ঘোষিত হন।  প্রুশিয়া জার্মানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির পরাজয়ের ফলে ১৯১৮ সালে জার্মান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং প্রুশিয়ার রাজতন্ত্রের অবসান হয়। ১৯১৯ সালে ভেইমার প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রুশিয়া তার স্বাধীনতা হারায়। দ্বিত...

প্র‍্যাক্টিক্যাল লিডারশিপ ১০১: মিড-টার্ম পর্যন্ত

দীর্ঘদিন মাঠ প্রশাসনে কাজ করার সুবাদে বেশ কিছু লিডারশিপ হ্যাকস খুঁজে পেয়েছি। নানা বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছে বইপত্র, আইনকানুন, বিধিবিধানের পাশাপাশি  এই হ্যাকসগুলো বেশ কার্যকর। যদিও এই বিষয়গুলো পাবলিক সার্ভিস লিডারশিপ সম্পর্কিত,  তারপরেও প্রাইভেট সার্ভিসেও বেশ কাজে লাগতে পারে। বুশ স্কুল, টেক্সাস এ এন্ড এম ইউনিভার্সিটিতে এনার্জি এন্ড টেকনোলজি পলিসিতে মাস্টার্স করার পাশাপাশি নিজ আগ্রহে বছরব্যাপী লিডারশিপ ডিপ্লোমা কোর্স  করেছিলাম। এর আগে বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রিতেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় পড়েছিলাম। পুথিগত  তত্বের  সাথে ১২ বছরের পাবলিক সার্ভিস অভিজ্ঞতা মিলিয়ে বেশকিছু বিষয়ের  তালিকা দিলাম। এর বাইরে আপনাদের জানামতে আরো কিছু এড করার থাকলে কমেন্টে জানাবেন। বেশি পরিচিত ও চর্চিত বিষয়গুলো সংগত কারণে বাদ দিলাম। ১. মেজাজ হারাবেন না:  চাকরি জীবনে যে কয়বার বিব্রত বা অপমানিত হয়েছি, এগুলো কোনোটাই শত্রুতা বা অদক্ষতার কারণে না। শুধুমাত্র,  কোন কারণে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ  হারিয়েছিলাম, বাজে ফলাফল পেয়েছি। সুতরাং এক সেকেন্ডে, এক মিনিট, এক ঘন্টা বা একদিনের জ...

সফলতার দীর্ঘ পথ

 হেরা গুহায় চুপ করে বসে ছিলেন, আর আল্লাহ পাক তাঁকে পছন্দ করেন বলেই ওহি নাজিল করলেন --ব্যাপারটা এত সরল না। নবী করিম সা: কে দীর্ঘ টানা ১৫ বছর হেরা গুহায় ধ্যান  করে একটা স্তরে পৌছানোর পর আল্লাহ তাঁকে নবুয়ত দান করেন। নবুয়ত পাওয়ার সাথে সাথে লোকজন দলে দলে তার কথামত ধর্মের পথে আসে নাই। নবী করিম সা: সংগঠন করা শুরু করেছেন লেইট টিনেজ থেকে। ২০ বছর বয়সে তিনি হিলফুল ফুজুল নামের একটা লোকাল  ন্যায়বিচার ক্লাব তৈরি করেন। এরপর সর্বদাই তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রমের মধ্যে থেকে নিজের দক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছেন। নবুয়তের পর তার এসব অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ধর্ম ও রাষ্ট্র গঠনে সাহায্য করেছে। আল্লাহ পাক যদিও তাঁকে নবুওতের জন্য পুর্বেই নির্ধারণ করে রেখেছিলেন, কিন্তু জীবনের নানা ধাপে নানা ধরণের পরীক্ষা যেমন অল্প বয়সে এতিম হওয়া, অকালে স্ত্রী-সন্তান হারানো, শত্রুদের নির্যাতন ইত্যাদির মধ্যে রেখে নবুয়ত ও ধর্ম প্রচারের জন্য একটা দীর্ঘ কঠিন প্র্সেসের মধ্যে রেখেছিলেন।  সুন্দরী বউ ভালো লাগে না, যাই গা-- এটা মনে করে ঘর থেকে বের হয়েই সিদ্ধার্থ নাম চেইঞ্জ হয়ে যাই নি।  ঘর থেকে বের হয়ে আরো ১৭ বছর কঠোর তপস্য...

ট্রেন্ড কেন নর্ম নয়?

 কেউ কেউ ফেসবুকার, ইউটিউবার , টিকটকার, ফুড ব্লগার হতে চাইলে মন খারাপ করার কিছু নেই। এটা আসলে সময়ের দাবী। বাংলাদেশীরা যে হতে চায় এমন না, সব দেশেই হতে চায়। যেখানে যেটা বেশি চাহিদা , হাইপ বেশি, পপুলারিটি বেশি, সাপ্লাই সেটার আসবেই। এটা এডাম স্মিথ বলে গেছেন। কথাটা সব সময়ের জন্য সত্য।  ১৭২০ সাল। সরকারের হস্তক্ষেপে স্টক মার্কেট রমরমা। বুদ্ধিমান ও পাকা এক ব্যক্তি নিজের বুদ্ধি ও দক্ষতাবলে কামানো টাকা হিসেব করে ইনভেস্ট করলেন 'সাউথ সি কোম্পানির' স্টকে। অল্পদিনে এই কোম্পানির শেয়ার আকাশে উঠছিল। চতুর এই লোক ঝোপ বুঝে কোপ মারলেন। ১০০% প্রফিটে সে সময়ে ৭০০০ পাউন্ড লাভ করলেন। যে শেয়ারের দাম জানুয়ারীতে ১২৮ পাউন্ড , জুলাইতে হাজার পার হয়ে যাচ্ছিল।  তার আবার খচখচানি শুরু হয়ে গেল। আশে পাশে সবাই পাউন্ড ঢালছিল আর লাভের খবর দিচ্ছিল। পাউন্ডের গন্ধ  আকাশ বাতাস ম-ম করছিল। যারা পাচক, ক্লিনার, হোম সার্ভেন্ট হিসেবে কাজ করত, তারাও বাষ্প সকট কিনে ড্রাইভার রাখা শুরু করল, নিজেদের জন্যেই আবার পাচক ক্লিনার রাখা শুরু হলো।  স্মার্ট ব্যক্তিটি আর চুপ থাক্তে পারলেন না। লাভের টাকার সাথে আরো ধারদেনা করলেন ,...

বিত্ত নয় চাই পূর্ণতা

 জীবনের ভ্রমণ নাতিদীর্ঘ। দম ফেলার আগেই শেষ। এ জীবনে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অনুভূতির নাম কি সুখ? আদতে সুখ বায়োলজিক্যালি ক্ষণস্থায়ী এক অনূভুতি। এর  স্থায়ীত্ব দেয়া সম্ভব না। সুখ নয়, বরং ক্ষণস্থায়ী এ জীবনের সবচেয়ে  কাঙখিত অনূভূতি হওয়া উচিত পরিপূর্ণতা। পরিপূর্ণ পরিপরিপূর্ণতা খুজে পাওয়াও  মোটামুটি অসম্ভব। পরিপূর্ণতার যতটা কাছাকাছি পৌছা  যায়- সেটাই হওয়া উচিত জীবন চলার লক্ষ্য।  শুধু নিজেকে নিয়ে মানুষের পরিপূর্নতা পাওয়া সম্ভব না। একক মানুষ অসম্পুর্ণ, অপরিপূর্ণ। নিজে ভাল খেলে,  পরলে, পড়লে,   ঘুরলে,  থাকলে, জ্ঞান অর্জন করলে  সাময়িক সুখ আসে, কিছু সময় পর  আবার এ অনুভুতি চলে যায়।  আমরা ছয় মিলিয়ন বছর ধরে  সার্ভাইভ করতে শিখেছি পরিবার , গোত্র হিসেবে। ১০হাজার বছর ধরে সভ্য হতে শিখছি সমাজ , দেশ ও বিশ্বপটের সন্তান হিসেবে। আমরা একক কেউ না। একক হিসবে কখনো কোথাও ছিলাম না। সবাই মিলে আমরা পরিপূর্ণ।  নিজের অর্জিত অর্থ-বিত্ত-জ্ঞান আমাদের পরিবার, আপনজন,  সমাজ , দেশ ও বিশ্বমানবতার কোন কাজে লাগাতে পারলে  আমাদেরকে পরিপূর্ণতার অনুভুতি দিতে প...

মৃত্যুচিন্তা

পৃথিবী নামক গ্রহের জন্মের সম্ভাবনা ছিল প্রায় শূন্য। পিতামাতার মিলন এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা, এবং আমাদের জন্মও একটি মহাঅলৌকিক ও অনিশ্চিত ঘটনার সাক্ষী। আপনার বা আমার জন্ম না হওয়ার লক্ষ কোটি কারণ ছিল, কিন্তু আমাদের মৃত্যু সবচেয়ে সুনিশ্চিত ও অবশ্যম্ভাবী। আমরা কত পার্থক্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করি—কেউ গরীব, কেউ ধনী, কেউ সাদা, কেউ কালো। মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় মার্ক্সবাদী আজরাইল বা যমদূত সবাইকে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়ে অন্তিম সাম্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং আমাদের সবাইকে এক বিন্দুতে মিলিত করেন।  মানুষই বা কেন, ধোঁয়া বা কুয়াশার সাথে আমাদের কোনো পার্থক্য নেই। আমরাও দূর শুন্যে মিলিয়ে যাই। কিন্তু হায়, আমরা প্রায় সকলেই জীবন অতিবাহিত করি মৃত্যুচিন্তা এড়িয়ে। এ এক মহাভুল। আধুনিক পুঁজিবাদী শহুরে জীবন মৃত্যুকে গোপন করার এক মহাপ্রচেষ্টা। মৃত্যু হয় হাসপাতালে, কবর হয় দূর গোরস্থানে। আপনজন কেউ মারা না গেলে জানতেও পারি না যে প্রতিদিন কত শত মানুষ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করছে।  আমরাও কত প্রচেষ্টা নিই, কত কিছু করি এ চিন্তা এড়িয়ে যেতে। ভুলে থাকি আমাদের সবচেয়ে নিশ্চিত গন্তব্য মৃত্যু। কত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাতিয়ে রাখে আমাদের সমাজ, মি...

শত্রু নয় বন্ধু

 শত্রু বা কম্পিটিটর খুব আন্ডাররেটেড একটা বিষয়। মানুষ মনে করে এরা খালি ক্ষতি করে। ব্যাপারটা আসলে উল্টা।  আমি আপনি কতদূর যাব এটা বোঝা যাবে আমাদের শত্রুদের কোয়ালিটি দেখে। আপনি জানেন এরা আপনার অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত।  যে কোন সময় বাশঁ দিতে পারে। আপনার কাজ হলো ডিফেন্স তৈরি করা, নিজেকে আরেকটু উচুঁতে নেয়া, যাতে তারা নাগাল না পায়। এভাবেই মানুষ বড় বড় শত্রু লালন-পালন করে নিজেকে অনেক উচুঁতে নিয়ে যায়। শত্রু লালন-পালন করা এনিম্যাল হাসবেন্ড্রির মতই একটা এপ্লায়েড সায়েন্স। গরুর খামারে লাভ করতে চাইলে প্রথম শর্ত ভাল জাতের বাছুর বা বকনা বাছাই করতে হয়। আমাদেরকেও উচুঁ জাতের শত্রু বাছাই করা উচিৎ।  ভালো হয় আমাদের চেয়ে কয়েক ধাপ উপরের। নিচু জাতের শত্রু কোন কাজের না। এরা এখানে সেখানে একটু বদনাম করবে, বা চুলকিয়ে দেবে। তাদের পেছনে সময় দিলে আপনি প্রফিট করতে পারবেন না। হুদাই সময় নষ্ট, এনার্জি নষ্ট।  এমন কেউ নাই এই মুহুর্তে? তাহলে আপনি দিনে দিনে লেইম বা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছেন। এটা একটা বাজে ব্যাপার হতে যাচ্ছে। ইউ উইল স্টপ গ্রোয়িং। মানুষ কখনোই স্ট্যাগনেন্ট থাকে না। উপরে যাওয়ার পুশ না থাকলে , চেষ...

লিডারশিপ ফর লেডিজ

এর আগে লিডারশিপ নিয়ে একটি দীর্ঘ লেখা লিখেছি। এ অংশটুকু ঐ লেখাতে দিতে পারতাম।   কিন্তু বিতর্ক তৈরি হতে পারত এবং লেখার মূল ফোকাস সরে যেতে পারত।  অযথাই কিছু লোক ধর্মীয় ও কালচারাল ইস্যু টেনে  ঘোট পাকাতে পারে, সে ভয়ে এ অংশ  চেপে গিয়েছি।  আদিম গোত্র  ভিত্তিক সাম্যবাদী সমাজে নেতৃত্বের পদ ছিল শামান বা মহিলা শামান। গোত্রের কালচার ও প্রয়োজনীয়তা উপর নির্ভর  করে লিঙ্গভিত্তিক নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হতো। তবে আদিম সমাজে   প্রায়শই নারীরা দল পরিচালনা করত ও তাদের দেবদেবীদের  সাথে যোগাযোগ রাখত।   কৃষি কাজের উদ্ভব পুরো সিস্টেমে একটা গোলমাল এনে দেয়। সম্পদের মালিকানার  বিষয়ে চলে আসে, উত্তরসুরির  প্রয়োজন হয়,  বিবাহ প্রথা স্থায়ীত্ব  লাভ করে।  অধিক শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা হেতু মেয়েদের প্রেগনেন্সির পরিমাণ, মোট প্রেগনেন্সির সময়কাল  ও সন্তান জন্মদান কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি লাভ করে । নেতৃত্বের জায়গাটি আস্তে আস্তে হাতছাড়া হয়ে যায়। বিষয়টি লক্ষণীয় যে,  কৃষিকাজ মেয়েদের মাধ্যমে শুরু হলেও এটি তাদের জন্য নেগেটিভ হিস...

রুগ্ন গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কাঠামো

 বছর দুয়েক আমেরিকায় ছিলাম। শহরের নাম সিটি অফ কলেজস্টেশন। টেক্সাস এএন্ডএম  ইউনিভার্সিটি  আদিকালে কলেজ ছিল।  কলেজের ধারে রেলস্টেশন ।  স্টেশনের নামে  শহরের নাম  সিটি অফ কলেজস্টেশন।     বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক লোকজন শহরে বসবাস করে,  উচ্চ শিক্ষিতের হার  বেশি। ২০২২ সালে   মেয়র নির্বাচিত হন জন নিকোলস।  নির্বাচনে ৯৫হাজার  ভোটারের মধ্যে ২১হাজার  ভোট পড়ে।  ভোট প্রদানের হার ২২%।  তবে গতবার ছিল ব্যতিক্রম,  এর আগের নির্বাচনগুলোতে ৭% ,  ১০% পর্যন্ত ভোট কাস্টিং হয়েছে।   শুধুমাত্র সিটি মেয়র নয়,  কাউন্টি জাজ,  স্কুল  ডিস্ট্রিক্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ, স্টেট গভর্নর পর্যন্ত নানা জাতের স্থানীয় সরকার পদ  ঐ দেশে।  কমবেশি হতে পারে,  তবে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে এ সকল পদে  ভোটার টার্নআউট  ৫% থেকে ৩০% এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শুধু  আমেরিকা নয়,  কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের  নানা দেশে লোকাল গভর্মেন্টের সকল পদে  চিত্র মোটামুটি একই।   উন...